গার্ডেনরিচের মতো ঘটনা যাতে শহরে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই সচেষ্ট হচ্ছে লালবাজার। —নিজস্ব চিত্র।
ভবিষ্যতে গার্ডেনরিচের মতো ভয়াবহ অঘটন এড়াতে ওই এলাকার পাশাপাশি শহরের অন্যত্রও বিধি মেনে বহুতল তৈরি করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিলেন লালবাজারের কর্তারা। একই সঙ্গে এলাকায় কোনও বেআইনি বহুতলের সন্ধান পেলে তা অবিলম্বে পুরসভাকে জানাতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, নির্মীয়মাণ বহুতলগুলির যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখতেও বলা হয়েছে স্থানীয় থানাকে। সেই সঙ্গে প্রোমোটার বা নির্মাণকারীরা যাতে নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বোর্ডে লিখে সংশ্লিষ্ট বহুতলের পাশে টাঙিয়ে রাখেন, তা-ও নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে থানার ওসিদের। এমনকি, থানাগুলি সেই কাজ ঠিক মতো করছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে সহকারী নগরপালদের (এসি)।
রবিবার রাতে গার্ডেনরিচ থানা এলাকার ফতেপুরের আজহার মোল্লা বাগানে একটি পাঁচতলা নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় অনেকে মারা যান। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই বহুতলটি বেআইনি ভাবে তৈরি হচ্ছিল। পুরসভা বা পুলিশের কোনও রকম অনুমতি না নিয়েই ওই বহুতল তৈরি করা হচ্ছিল। অভিযোগ, শুধু গার্ডেনরিচ বা বন্দর এলাকাই নয়, যাদবপুর, গড়িয়া, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, রাজাবাজার, ট্যাংরা, তিলজলা, তপসিয়া, বেলগাছিয়া-সহ অন্য বহু এলাকাতেও পুলিশ ও পুরসভার নজর এড়িয়ে একাধিক বেআইনি বহুতল তৈরি করা হচ্ছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, গার্ডেনরিচের মতো ঘটনা যাতে শহরে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই সচেষ্ট হয়েছে লালবাজার। তাই থানাগুলিকে সতর্ক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং নির্মীয়মাণ বহুতলের নথি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, থানার সেকেন্ড অফিসার এবং অ্যান্টি-রাউডি অফিসারকে বিশেষ করে এই কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।