—ফাইল চিত্র।
একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যে সমর্থকেরা আসবেন, তাঁদের বাস ও গাড়ি রাখা নিয়ে চিন্তায় লালবাজার। প্রতি বছরের মতো এ বারেও ময়দানের নির্ধারিত অংশে ওই সমস্ত যানবাহন রাখার ব্যবস্থা থাকলেও বাধা হচ্ছে দফায় দফায় বৃষ্টি।
লালবাজার সূত্রের খবর, একুশে জুলাই উপলক্ষে ময়দানের ১১টি মাঠকে পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবাসী কলেজ মাঠ, গঙ্গাসাগর মেলা মাঠ, টাই গ্রাউন্ড, রেঞ্জার্স মাঠ। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমর্থকদের গাড়ি-বাস ওই জায়গায় রাখা হয়। কিন্তু দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। এক পুলিশকর্তার কথায়, মাটি নরম হলে রাস্তায় পার্কিংয়ের প্রবণতা দেখা যায়।
বুধবার বিকেলে সমাবেশ মঞ্চে আসেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তিনি জানান, ওই দিন পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা, ভিআইপি-দের নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া, উপ নগরপাল পদমর্যাদার ৩১ জন, যুগ্ম নগরপাল পদমর্যাদার আট জন, সহকারী নগরপাল পদমর্যাদার ৮০ জন অফিসার থাকবেন।সভাস্থল সংলগ্ন ২০টি বহুতলের ছাদ থেকে নজরদারি চলবে। সিসি ক্যামেরা থাকবে ৪৫টি। ছ’টি কুইক রেসপন্স দল এবং ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। ৪৮টি ‘মে আই হেল্প ইউ’ ডেস্ক ও চারটি বিপর্যয় মোকাবিলা দলও থাকবে।
সমাবেশ উপলক্ষে হাজার পনেরো ছোট-বড় গাড়ি শহরে ঢোকে। ওই সব গাড়ি রাখার জন্য ময়দানের মাঠ ছাড়াও বিভিন্ন রাস্তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শহরে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ হচ্ছে। ট্র্যাফিকের পাঁচটি দল বাইরে থেকে আসা গাড়ি নির্দিষ্ট পার্কিং লটে রাখার ব্যবস্থা করবে। ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকা ১৫টি সেক্টরে ভাগ করে সেগুলির দায়িত্ব এক জন করে সহকারী উপ নগরপালকে দেওয়া হয়েছে। পার্ক স্ট্রিট যাতে অবরুদ্ধ না হয়, তা জন্য মিছিল যাওয়ার আলাদা লেনের ব্যবস্থা হচ্ছে। এ জে সি বসু রোডের একাংশ, হসপিটাল রোড, কুইন্স ওয়ে, ক্যাথিড্রাল রোড, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ এবং লাভার্স লেনে শুক্রবার পার্কিং করা যাবে না।