লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও দৌরাত্ম্যের অভিযোগ নতুন নয়। নিয়ম ভেঙে চার জনের বেশি যাত্রী তোলা, চলন্ত অটোয়া তারস্বরে গান বাজানো ও খেয়ালখুশি মতো ভাড়া চাওয়ার অভিযোগও রয়েছে অটোচালকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এ বার শহরে কোন রুটে কোন অটো চলছে এবং তার ভাড়া কী, সেই তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার। শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। ওই তথ্য কলকাতা পুলিশের ‘বন্ধু’ অ্যাপে আপলোড করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাতে যে কোনও নাগরিক সেখান থেকে অটো রুটের খোঁজ পেতে পারেন।
তবে ওই তথ্য আপলোড করা হলেও তার সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকবে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন রুটে দিনে এক রকম ভাড়া নেওয়া হয়। আবার রাতে বা ঝড়বৃষ্টির সময়ে ভাড়া বদলে যায়। ফলে পুলিশ সচেষ্ট না হলে অটোচালকদের ওই মনোভাবের পরির্বতন করা যাবে না। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী অটো নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি তৈরির জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে তা নিয়ে কোনও পক্ষই উচ্চবাচ্য করেনি। ফলে কোন রুটে কোন অটো চলবে, তার ভাড়া কী হবে, যাত্রী কত জন তোলা যাবে—সব কিছুই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ঠিক করে বলে অভিযোগ। পুলিশের একাংশই জানিয়েছে, বিভিন্ন রুটে চারের বেশি যাত্রী নিয়ে চলে অটো। বিশেষত শিয়ালদহ স্টেশন, ফুলবাগান, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, পার্ক সার্কাস এলাকার রুটে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটো চলে বলে অভিযোগ।