দু’দিন কেটে গেলেও মহিলা ছিনতাইবাজের টিকি খুঁজে পাচ্ছে না সল্টলেক পুলিশ।
আইএসএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে। সে কারণে সল্টলেকের বাকি অংশে নজরদারির মতো পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ কার্যত ছিল না।
সে সুযোগেই সল্টলেকের এডি ব্লকে একটি বাড়ির সামনে থেকে এক গৃহকর্ত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালায় তিন ছিনতাইবাজ। ওই গৃহকর্ত্রীর অভিযোগ, তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে যেতেই পিছন থেকে তিন জন মোটরবাইকে করে তাঁর কাছে চলে আসে। মোটরবাইকে দু’জন যুবক, মাঝে এক মহিলা। তিন জনেই হেলমেট পরা। ওই মহিলাই ব্যাগ ছিনতাই করে। ব্যাগের মধ্যে নগদ টাকা, গয়না ছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুজোর আগে ধরপাকড়ের জেরে চুরি, ছিনতাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু ফের ছিনতাইয়ের ঘটনায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পুলিশের। তা-ও আবার মহিলা ছিনতাইবাজ।
যে ব্লকে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে, সেখানে কয়েক বছর আগে একটি বাড়ির দরজা ভেঙে, সকলকে বেঁধে রেখে ডাকাতি করে পালিয়েছিল কয়েক জন দুষ্কৃতী। সে ক্ষেত্রেও এক জন মহিলার কথা উঠে এসেছিল। সে ঘটনার কিনারা আজও হয়নি। তবে পরে স্থানীয় পুর-প্রশাসন ওই ব্লকের কয়েকটি পথে সিসি টিভি বসিয়েছিল।
ওই ঘটনার আগের দিনও সল্টলেকে আর একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সিসিটিভি-র নজরদারি এড়িয়েই ছিনতাই করেছে দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এলাকা নখদর্পণে না থাকলে এমন সাহস কেউ করবে না।
তদন্তকারীদের একাংশের কথায়, হেলমেট পরে অসংখ্য যুবক-যুবতী রোজ সল্টলেকে যাতায়াত করেন। সব ক্ষেত্রে নজরদারি সর্বদা সম্ভব হয় না। সেই সুযোগটাই নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। সামনেই দীপাবলি। পাশাপাশি আইএসএলও চলছে। ফলে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করলে ফের চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটবে বলেই আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
এ প্রসঙ্গে সল্টলেকের এক পুলিশ কর্তার দাবি, আগের থেকে সল্টলেকে নজরদারি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে গত কয়েক মাসে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনাও কমেছে। তাই বলে অবশ্য তাঁরা ছিনতাইয়ের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলতে নারাজ। পুলিশ কর্তা বলেন, “তল্লাশি শুরু হয়েছে। কোনও চক্র সক্রিয় হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”