প্রতীকী ছবি।
আনলক-২ পর্বে খুলে গিয়েছে বহু পরিষেবা। বিভিন্ন দফতরে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও রোজগার হারাতে বসেছেন রাজ্য শ্রম দফতরের প্রায় ছ`হাজার স্বনিযুক্ত শ্রম সংগঠক কর্মী। আগে কমিশন ভিত্তিক রোজগার থাকলেও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই কমিশন ব্যবস্থা। ফলে কার্যত না খেয়ে দিন কাটছে তাঁদের। কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই এই অবস্থা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমিকদের সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। তার হিসেব রাখার জন্য প্রতি শ্রমিককে একটি করে খাতা দেওয়া হয়। ওই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা, পেনশন, দুর্ঘটনায় মুত্যুকালীন অনুদান এমনকি সন্তানদের জন্য শিক্ষামূলক বৃত্তিও দেওয়া হত। নির্মাণ, পরিবহণ মিলিয়ে প্রায় ৪৬টি ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকেরা এই পরিষেবার আওতায় পড়েন। বিনিময়ে সরকার তাঁদের থেকে মাসিক ২৫ টাকা সংগ্রহ করে। এর হিসেব রাখার জন্যই খাতা পিছু মাসিক ২ টাকা কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন কর্পোরেশন, পুরসভা এবং ব্লকে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। যাঁরা ওই ২৫ টাকার মধ্যে ২ টাকা কমিশন পান সরকারের থেকে। তাঁরাই হলেন কাজ হারাতে বসা এই স্ব-নিযুক্ত শ্রম সংগঠক।
তাঁদের তরফে মহম্মদ আজিবার বিশ্বাস জানান, চলতি বছরের আর্থিক বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা একেবারে বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এই পরিষেবার আওতায় থাকা কোনও ব্যক্তিকেই এখন থেকে আর মাসে ২৫ টাকা দিতে হচ্ছে না। ফলে ২ টাকা করে কমিশন ব্যবস্থাও একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ দিন আজিবার বলেন, ‘‘লকডাউনের মধ্যে না খেয়ে ভীষণ কষ্টে দিন কেটেছে। রাজ্যের ছ’হাজার কর্মীর সবারই এমন হাল। আমরা রাজ্য সরকারকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যদি কোনও সুরাহা করেন, তবেই আমরা বাঁচব।’’
রাজ্য শ্রম দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘অসংগঠিত শ্রমিকদের স্বার্থে, তাঁদের সুবিধার জন্যই ওই প্রকল্পে মাসিক টাকা নেওয়া বন্ধ করে সরকারি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই যাঁরা খাতা দেখভাল করতেন তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’