আগামী ১১ থেকে ১৩ তারিখ কিছুটা পারদ পতনের সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। ছবি: শাটারস্টক।
কোথাও টেস্টের ধাঁচে ধিমে তালে ব্যাটিং, তো কোথাও মারকাটারি টি-টোয়েন্টি!
জাঁকিয়ে শীতের আশায় হাপিত্যেস করে রয়েছেন বঙ্গবাসী, অথচ শীতকাল কবে আসবে বুঝতে পারছেন না। পাহাড়ে কনকনে ঠান্ডা টি-২০-র ঢঙে মারকাটারি ব্যাটিং করলেও, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দিনের বেলায় যেন সেই টেস্ট ক্রিকেটের ঢিমে তালে ব্যাটিং! শীতবস্ত্রের প্রয়োজনই হচ্ছে না। অথচ, ডিসেম্বরের ৭ তারিখ হয়ে গেল। জাঁকিয়ে শীত পড়া নিয়ে এখনও আশার খবর শোনাতে পাচ্ছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
কেন এমন অবস্থা?
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এর কারণ উত্তরে বাতাস ঢোকায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জলীয় বাষ্প। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। সে করণে বাধা পাচ্ছে শীতল বাতাস। যদিও আগামী ১১ থেকে ১৩ তারিখ কিছুটা পারদ পতনের সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। সেই সময় আর একটু ঠান্ডা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় অপহরণ কর্নাটকের ব্যবসায়ী, গ্রেফতার ২
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢোকার কারণে কলকাতার আকাশ মেঘে ঢাকা। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। নভেম্বরের দু’তিন দিনের জন্যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছলেও, পারদ ফের চড়তে শুরু করে। সাধারণত কলকাতায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে শীত পড়ে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখনও কিছুটা সময় রয়েছে। মেঘ সরলেই কনকনে ঠান্ডা মালুম হবে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে গরুপাচার: সিবিআই-কে গুরুত্বপূর্ণ নথি দিল বিএসএফ
সমতলে এই অবস্থা হলেও পাহাড় কিন্তু কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে। দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি। কালিম্পঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। পানাগড় ১১.২ ডিগ্রি। সমতলের অন্য জেলায় পারদ খুব একটা নামেনি।