গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডে সমাজমাধ্যমে ‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগ আগেই বেশ কয়েক জন আগেই তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। এ বার দুই প্রবীণ চিকিৎসককেও তলব করতে চলেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রেই খবর, ওই দু’জনের মধ্যে এক চিকিৎসক আবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছিলেন।
মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সমাজমাধ্যমে গুজব রটিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই সরব ছিল লালবাজার। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি করের তদন্তভার এই মুহূর্তে আর লালবাজারের হাতে নেই অবশ্য। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু সমাজমাধ্যমে যাঁরা ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছেন গত কয়েক দিন ধরে, এখন তাঁদের তলব করতে শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আগেই অন্তত ৬০ জনকে তলব করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এ বার নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হতে চলেছে দুই চিকিৎসককে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক চিকিৎসক দাবি করেছিলেন যে, ঘটনাস্থল থেকে নাকি ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই সে কথা বলা হয়েছে। ওই চিকিৎসক এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন, তা জানতেই তাঁকে নোটিস পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। ঘটনাচক্রে, এই বিষয়টি শুক্রবারও বলেছেন সিপি। তিনি বলেন, ‘‘কখনও বলা হচ্ছে গণধর্ষণ হয়েছে, কখনও বলা হচ্ছে ঘটনাস্থল থেকে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে। কখনও আবার কোনও মহাপাত্র পদবিধারীকে বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে জুড়ে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ সব একেবারে ভুল কথা। প্রমাণ ছাড়া কোনও ধরনের গুজব না ছড়াবেন না। আমাদের প্রমাণ দরকার। প্রমাণ ছাড়া কাউকে আমরা ধরতে পারি না। আমাদের কাউকে বাঁচানোর নেই। প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছি। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না।’’