— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোর ভিড় এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সামলাতে এ বার চতুর্থী থেকেই পথে নামছে কলকাতা পুলিশের বাহিনী। গত অগস্ট মাসে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল শহর। লালবাজারের অনুমান, পুজোর মধ্যেও এই প্রতিবাদ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ? শুক্রবার কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক গাইড ম্যাপ উদ্বোধন করে নগরপাল মনোজ বর্মা জানান, সব রকম পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বাহিনী প্রস্তুত। সাধারণ মানুষ পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, আর জি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতার তৎকালীন নগরপাল বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তাঁর জায়গায় সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন মনোজ বর্মা। দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই উৎসবের দিনগুলিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
লালবাজার জানিয়েছে, পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোটা শহরকে একাধিক কমপ্লেক্সে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে বড় পুজো মণ্ডপগুলিকে ১২টি কমপ্লেক্সে ভাগ করে সেখানে ১৪ জন উপ-নগরপালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সহায়তা করার জন্য থাকছেন সহকারী নগরপাল থেকে শুরু করে ১০ হাজার পুলিশকর্মী।
গত তিন বছর ধরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর ভিড় সামলাতে গিয়ে সব চেয়ে বেশি মুশকিলে পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। সে কথা মাথায় রেখে এ বার ওই পুজো মণ্ডপকে সাতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিন জন উপ-নগরপালকে। লালবাজার সূত্রের খবর, শুধু সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর জন্যই কাল, রবিবার থেকে প্রায় ৭০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। অন্য দিকে, দক্ষিণে দেশপ্রিয় পার্কের ভিড় সামলাতে থাকছে ৪০০-র বেশি পুলিশকর্মী। যাঁদের নেতৃত্বে থাকবেন এক জন উপ-নগরপাল।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, পুজোর ভিড় সামলে যান চলাচল মসৃণ রাখতে কাল, রবিবার থেকে রাস্তায় নামবেন চার হাজার ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী। এঁদের মধ্যে ১৮ জন সহকারী নগরপাল এবং ১০৪ জন ইনস্পেক্টর। পথে থাকবেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হোমগার্ডও। ভাঙড় ডিভিশন কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ বছর লালবাজারের অধীনস্থ পুজোর সংখ্যা হয়েছে ২৯০৫টি।