App Cab

App cab: অ্যাপ-ক্যাব চালকদের ‘পথে আনতে’ কর্মশালা

যাত্রীদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে তাঁদের সচেতন করতে ওই চালকদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে লালবাজার।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব বুক করার পরেই চালক ফোনে যাত্রীর কাছে জানতে চাইছেন তাঁর গন্তব্য। তার পরে জিজ্ঞাসা করছেন তাঁর ‘মোড অব পেমেন্ট’ কী। অর্থাৎ, ওই যাত্রী ভাড়া অনলাইনে মেটাবেন, না নগদে? যাত্রীর উত্তর মনের মতো না হলেই ট্রিপ বাতিল করে দিচ্ছেন চালকেরা।

Advertisement

অ্যাপ-ক্যাব চালকদের নিয়ে এমন সমস্যায় নিত্যদিনই জেরবার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। হলুদ ট্যাক্সির মতোই যখন খুশি যাত্রী-প্রত্যাখ্যান করতে পিছপা হন না তাঁরা। তাঁদের এই ধরনের আচরণের বিষয়ে অভিযোগ পেলেও অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি সব সময়ে কড়া পদক্ষেপ করে না বলে দাবি যাত্রীদের একাংশের। কলকাতা পুলিশের কাছেও প্রতিদিন ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ে অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে। এ বার তাই যাত্রীদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে তাঁদের সচেতন করতে ওই চালকদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, কর্মশালার দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও মনে করা হচ্ছে, আগামী মাসের গোড়ার দিকে টালার ট্র্যাফিক ট্রেনিং স্কুলে তা হতে পারে। পুলিশের তরফে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন লালবাজারের ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা।

অতীতে বিভিন্ন সময়ে অটো এবং ট্যাক্সিচালকদের জন্য এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করেছে লালবাজার। কিন্তু গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য তা বন্ধ রয়েছে। এই ধরনের কর্মশালায় ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার গুরুত্বের পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত, তা-ও শেখানো হয় চালকদের। অ্যাপ-ক্যাব চালকদের নিয়ে এই ধরনের কোনও কর্মশালা এর আগে হয়নি বলেই দাবি লালবাজারের। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘বর্তমানে প্রতিদিনই ক্যাবচালকদের বিরুদ্ধে যাত্রী-প্রত্যাখ্যান ও দুর্ব্যবহারের
নানা রকম অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে। তাই দোষী চালকদের বিরুদ্ধে আইনি পথে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ওই কর্মশালার আয়োজনের কথাও ভাবতে হচ্ছে।’’

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই যাত্রী-প্রত্যাখ্যান ও তাঁদের হেনস্থা করার পাশাপাশি বেশি ভাড়া চাওয়ার ঘটনায় অ্যাপ-ক্যাব চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ট্র্যাফিক বিভাগের স্পেশ্যাল রেড শাখাকে অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার জেরে বুধবার পর্যন্ত পুলিশ দশ জন এমন চালকের বিরুদ্ধে যাত্রী প্রত্যাখ্যান ও ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে পদক্ষেপ করেছে। এ ছাড়াও প্রায় ৪০ জন চালককে লালবাজারে ডেকে সর্তক করা হয়েছে অথবা তাঁদের দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা আগামী দিনে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। সেই সঙ্গে দু’টি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাকে লিখিত ভাবে ওই চালকদের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, চালকদের পাশাপাশি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলিকেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যে চালক গন্তব্যের নাম শুনে বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন বা বেশি ভাড়া হাঁকছেন, আইনের চোখে তিনি যে মোটেই ঠিক কাজ করছেন না, তা জানানো হয়েছে ওই সংস্থাগুলিকে। অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, যাত্রী-প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ প্রথমে চালককে ডেকে পাঠাচ্ছে। এর পরে সব খতিয়ে দেখে দোষী চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তারা।

শিবাজী দে সরকার

অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব বুক করার পরেই চালক ফোনে যাত্রীর কাছে জানতে চাইছেন তাঁর গন্তব্য। তার পরে জিজ্ঞাসা করছেন তাঁর ‘মোড অব পেমেন্ট’ কী। অর্থাৎ, ওই যাত্রী ভাড়া অনলাইনে মেটাবেন, না নগদে? যাত্রীর উত্তর মনের মতো না হলেই ট্রিপ বাতিল করে দিচ্ছেন চালকেরা।

অ্যাপ-ক্যাব চালকদের নিয়ে এমন সমস্যায় নিত্যদিনই জেরবার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। হলুদ ট্যাক্সির মতোই যখন খুশি যাত্রী-প্রত্যাখ্যান করতে পিছপা হন না তাঁরা। তাঁদের এই ধরনের আচরণের বিষয়ে অভিযোগ পেলেও অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি সব সময়ে কড়া পদক্ষেপ করে না বলে দাবি যাত্রীদের একাংশের। কলকাতা পুলিশের কাছেও প্রতিদিন ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ে অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে। এ বার তাই যাত্রীদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে তাঁদের সচেতন করতে ওই চালকদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, কর্মশালার দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও মনে করা হচ্ছে, আগামী মাসের গোড়ার দিকে টালার ট্র্যাফিক ট্রেনিং স্কুলে তা হতে পারে। পুলিশের তরফে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন লালবাজারের ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা।

অতীতে বিভিন্ন সময়ে অটো এবং ট্যাক্সিচালকদের জন্য এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করেছে লালবাজার। কিন্তু গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য তা বন্ধ রয়েছে। এই ধরনের কর্মশালায় ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার গুরুত্বের পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত, তা-ও শেখানো হয় চালকদের। অ্যাপ-ক্যাব চালকদের নিয়ে এই ধরনের কোনও কর্মশালা এর আগে হয়নি বলেই দাবি লালবাজারের। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘বর্তমানে প্রতিদিনই ক্যাবচালকদের বিরুদ্ধে যাত্রী-প্রত্যাখ্যান ও দুর্ব্যবহারের
নানা রকম অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে। তাই দোষী চালকদের বিরুদ্ধে আইনি পথে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ওই কর্মশালার আয়োজনের কথাও ভাবতে হচ্ছে।’’

লালবাজার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই যাত্রী-প্রত্যাখ্যান ও তাঁদের হেনস্থা করার পাশাপাশি বেশি ভাড়া চাওয়ার ঘটনায় অ্যাপ-ক্যাব চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ট্র্যাফিক বিভাগের স্পেশ্যাল রেড শাখাকে অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার জেরে বুধবার পর্যন্ত পুলিশ দশ জন এমন চালকের বিরুদ্ধে যাত্রী প্রত্যাখ্যান ও ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে পদক্ষেপ করেছে। এ ছাড়াও প্রায় ৪০ জন চালককে লালবাজারে ডেকে সর্তক করা হয়েছে অথবা তাঁদের দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা আগামী দিনে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। সেই সঙ্গে দু’টি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাকে লিখিত ভাবে ওই চালকদের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, চালকদের পাশাপাশি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলিকেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যে চালক গন্তব্যের নাম শুনে বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন বা বেশি ভাড়া হাঁকছেন, আইনের চোখে তিনি যে মোটেই ঠিক কাজ করছেন না, তা জানানো হয়েছে ওই সংস্থাগুলিকে। অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, যাত্রী-প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ প্রথমে চালককে ডেকে পাঠাচ্ছে। এর পরে সব খতিয়ে দেখে দোষী চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement