গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবল ছোঁয়াচে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রনই রয়েছে এর নেপথ্যে। সংক্রমণের গ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ব্যতিক্রম নয় পুলিশও। থানার পর থানায় পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পথ নিল লালবাজার। এ বার থেকে থানায় যোগাযোগ করতে আর সশরীরে যেতে হবে না। একটি মোবাইল নম্বরে ডায়াল করলেই মিলবে সমস্ত সুবিধা। তাতে প্রয়োজনে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে যেমন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা যাবে, তেমনই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মুহূর্তে সরবরাহ করা যাবে কোনও নথি। নেটমাধ্যমে সব ক’টি থানার মোবাইল নম্বর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সব ক’টি ফোনেই মিলবে হোয়াটসঅ্যাপের সুবিধা।
প্রযুক্তিকে ঢাল করে করোনা কালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা শুরু করল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই আইপিএস আধিকারিক থেকে সাধারণ পুলিশকর্মী, করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। কিন্তু সে জন্য তো আর থানার দরজা বন্ধ করা যায় না। বাধ্য হয়ে মহানগরীর প্রতিটি থানাকে হোয়াটসঅ্যাপের সুবিধাযুক্ত একটি করে মোবাইল ফোন দিয়েছে লালবাজার। এর ফলে অভিযোগ জানাতে আর থানায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ওই নম্বরে ভিডিয়ো কল বা হোয়াটসঅ্যাপেই জানানো যাবে যাবতীয় অভিযোগ। নেটমাধ্যমে সবিস্তার দিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন থানায় কত নম্বরে ফোন করতে হবে, তার তালিকা।
কলকাতায় যখন হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এমন পদক্ষেপকে সময়োপযোগী বলে মনে করছেন অনেকে। তাতে বাড়তি সংক্রমণ শঙ্কা থেকে যেমন বাঁচবেন পুলিশকর্মীরা, তেমনই করোনার প্রকোপ থেকে খানিকটা হলেও নিরাপদ থাকতে পারবেন সাধারণ মানুষ।