প্রতীকী চিত্র।
রাত তখন ৩টে। বারাসত জেলা পুলিশের হেল্পলাইনে খবর এল, অসুস্থ স্ত্রীকে দেখে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরার পরে এক বৃদ্ধকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না বাড়ির মালিক। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ওই বৃদ্ধকে বাড়ি ঢোকানোর ব্যবস্থা করল পুলিশ। মালিককে কড়া ভাষায় বোঝানো হল, এমন অভিযোগ যেন আর না আসে।
শনিবার থেকেই পুলিশের কড়াকড়িতে লকডাউনে ভাল সাড়া মিলেছে দমদম, বারাসত, দত্তপুকুর, দেগঙ্গায়। বারাসত হাসপাতাল সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার একটি বড় মাছের আড়তে সকাল থেকে ক্রেতাদের ভিড় জমায় অভিযোগ পৌঁছয় পুলিশের কাছে। ক্রেতারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, তা দেখতে পুলিশকে অনুরোধ করেন স্থানীয়েরা। সেই মতো সমস্যার সমাধানও করে দেয় পুলিশ।
এ দিনই হেল্পলাইনে খবর পেয়ে পুলিশ দুই রোগীকে ডায়ালিসিস করার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, গাড়ি না পেয়ে গোবরডাঙ্গার বাসিন্দা কার্তিক ঘোষ এবং আমডাঙ্গার মাধবপুরের বাসিন্দা তাপস কর্মকার হেল্পলাইনে
নিজেদের সমস্যার কথা জানান। পুলিশের তরফেই ওই দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। শনিবার পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বারাসতের কয়েক জন চিকিৎসককে দেখা যায় মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দেগঙ্গা, দত্তপুকুর, আমডাঙ্গা এলাকার বিভিন্ন স্টেশনে ভবঘুরেদের খাবার দিতে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কুকুরকে খাবার দিতে দেখা যায় সাধারণ মানুষ ও পশুপ্রেমী সংগঠনগুলিকে।
পুলিশ জানায়, কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে বেড়াচাঁপার ঘোষপাড়ায় এক যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রচুর মদ আটক করা হয়। একটি মদের দোকানে হানা দিয়েও প্রচুর পরিমাণে বেআইনি মদ আটক করে পুলিশ। কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। বারাসত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেখানে যা অভিযোগ এসেছে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। অনেকেই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। এটা ভাল লক্ষণ।’’