গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
স্ত্রী পাল্টাপাল্টির সপক্ষে প্রমাণ হাতে এসেছে পুলিশের কাছে। সোমবার আলিপুর আদালতে কড়েয়ার ধর্ষণ মামলায় এমনটাই দাবি করল পুলিশ।
এর আগে কলকাতার একটি বিখ্যাত স্বর্ণ বিপণির মালিক পরিবারের বধূ কড়েয়া থানায় ধর্ষণ, বিকৃত যৌন অত্যাচার এবং নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। চেতলার বাসিন্দা ওই তরুণী তাঁর অভিযোগে জানিয়েছিলেন, পারিবারিক প্রথার নামে তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করেছেন তাঁর ভাশুর। এই বিকৃত যৌনতায় সঙ্গ দিতে তাঁর স্বামী তাঁকে বাধ্য করেছেন।
অভিযোগ পেয়েই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল অভিযুক্ত স্বামী এবং ভাশুরকে। তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। এ দিন দু’জনকেই ফের আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন অভিযোগকারীণীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। তিনি বলেন, “ অনেকগুলি মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তদন্ত এখন একদমই প্রাথমিক স্তরে। এই অবস্থায় জামিন দিলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করেন, তাই কেন্দ্র চাপ দিচ্ছে: ফিরহাদ
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ফেসবুকে ‘অশালীন’ মন্তব্য, থানায় ঢুকে পুলিশের সামনেই যুবককে মার জেলাশাসকের
এ দিন তদন্তের কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত তদন্তে কী কী অগ্রগতি হয়েছে, তা বিচারককে জানান তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে আদালতকে পুলিশ জানায় যে তাঁরা তদন্তে নেমে একটি অডিয়ো রেকর্ডের সন্ধান পেয়েছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের সেই অডিয়ো রেকর্ডে তিন জনের কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। আপাত ভাবে এক জন অভিযোগকারীণী, অন্য জন তাঁর বোন এবং তৃতীয় জন অভিযোগকারীণীর জা অর্থাৎ ধৃত ভাশুরের স্ত্রীর কথোপকথন শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে ধৃত ভাশুরের স্ত্রী স্বীকার করেছেন, ওই পরিবারে স্ত্রী পাল্টাপাল্টির রেওয়াজের কথা। ওই অডিয়ো রেকর্ডের তথ্য আদালতকে জানিয়ে ধৃতদের ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে ধৃতদের ফের জেরা করা প্রয়োজন। আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই দিনই বিচারকের সামনে অভিযোগকারীণীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার দিন নির্দিষ্ট করেছে আদালত।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)