হাজারেরও বেশি বার রিটুইট হয়েছে ওই মিম।
ঠগস অফ হিন্দোস্তান ছবির পোস্টার ব্যবহার করে মিম তৈরি করে বিতর্কের মুখে কলকাতা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিতর্কের জেরে শেষ পর্যন্ত সেই মিম ডিলিট করতে বাধ্য হল পুলিশ। প্রশ্ন ওঠে, নিজেদের কর্মক্ষমতা এবং যোগ্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যের সমালোচনা আদৌ কি করতে পারে কলকাতা পুলিশের মত একটি সরকারি সংস্থা?
রবিবার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ এবং ডিসি ট্রাফিকের টুইটার হ্যান্ডেলে দেখা যায় পাশাপাশি দু’টি ছবি। একদিকে আমির খান-অমিতাভ বচ্চন অভিনীত বহু চর্চিত ঠগস অফ হিন্দোস্তান ছবির একটি পোস্টার। অন্যটি কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের, যেখানে দু’জন পুলিশ কর্মী পাশাপাশি বসে আছেন।
দু’টি ছবির আলাদা আলাদা ক্যাপশন। পোস্টারের ক্যাপশনে ইংরেজিতে যা লেখা তার তর্জমা করলে দাঁড়ায়— ‘কিছু অভিজ্ঞতা সত্যি খুব হতাশাজনক হতে পারে। অন্য ছবির ক্যাপশনে লেখা — ‘কিন্তু এখানে আমরা তা কখনওই হতে দেব না।’
মিম পোস্ট হওয়ার পর নানা ধরনের মন্তব্য সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: এখন মা খুব ভালবাসে, আত্মহত্যা করতে চাওয়া মেয়ের কথা শুনে জলে ভরে গেল মায়ের দু’চোখ
আরও পড়ুন: যোগীর ছোঁয়াচ এ রাজ্যের স্কুলে, ইসলামপুর নাম বদলে হল ‘ঈশ্বরপুর’!
বার্তাটা পরিষ্কার। সদ্য মুক্তি পাওয়া এই ছবি নিয়ে ফিল্ম সমালোচক এবং দর্শকদের একটা অংশ যথেষ্ট হতাশা প্রকাশ করেছেন। ফিল্ম বিশ্লেষকরা বলেছেন, ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে যে উত্তেজনা ছিল ওই ছবি ঘিরে তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি এই ছবি। আর সেই বিষয়কেই হাতিয়ার করে কলকাতা পুলিশ নিজেদের একনিষ্ঠতা এবং কর্ম তৎপরতার প্রচারে নামে।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ পোস্ট করা ওই মিম গোটা দিনে হাজারের বেশি বার রিটুইট হয়েছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজেও পোস্ট হয়েছে। আর সেখানেই উঠে আসছে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, নিজেদের প্রচার করতে গিয়ে কি পুলিশ একটি ছবিকে ট্রোল করতে পারে? কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজেও অনেকে এই মিমের সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘কেয়া জমানা আ গ্যায়া ইয়ার, পোলিস ওয়ালে ভি ট্রোল পে উতর আয়ে।’
কলকাতা পুলিশের এই সোশ্যাল মিডিয়া সেলের তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতীম সরকারকে এ বিষয়ে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁকে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।