প্রতীকী ছবি।
মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়লে এ বার অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর ধারা যুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল লালবাজার। রবিবারই পুলিশ কমিশনার ওই নির্দেশ জারি করেছেন। রবিবার রাত থেকেই ট্র্যাফিক গার্ডগুলি মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে ওই ধারায় মামলা দায়ের করছে। এর আগে গত সপ্তাহেই লালবাজার বিনা হেলমেটের মোটরবাইক চালকদের লাইসেন্স সাময়িক ভাবে বরখাস্তের নির্দেশ জারি করেছিল। ট্র্যাফিক গার্ডের এসি-দের ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকেই সেটি কার্যকর করেছেন তাঁরা। মূলত বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জেরে দুর্ঘটনা ঠেকাতেই লালবাজার ওই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। লালবাজার ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা জানান, মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে শহর জুড়ে। কিন্তু তার পরেও চালকদের একাংশের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব কমছে না। তাই মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর মামলা যাতে আরও কঠোর হয়, তার জন্য বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ যুক্ত করা হচ্ছে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে গোটা শহর জুড়ে ৬১ জন মত্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। নতুন ট্র্যাফিক আইন অনুসারে মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে জরিমানা দিতে হবে এক হাজার টাকা। এর সঙ্গে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য দিতে হবে আরও পাঁচ হাজার টাকা। ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে, ট্র্যাফিক আইন অনুযায়ী ওই দুই ধারায় একসঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। সেই মতো লালবাজারের তরফে ওই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশের একাধিক কর্তা জানিয়েছেন, দেখা গিয়েছে, মদ্যপান করে যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁরা বেশির ভাগ সময়েই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন না। সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায়, নেশা করে গাড়ি চালালে বড় রকম দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা কমাতেই ওই দু’টি কঠোর ধারায় মামলা করা হচ্ছে। লালবাজার জানিয়েছে, এখন প্রতি রাতে শহর জুড়ে বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে তল্লাশি চলছে। থানার সঙ্গে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি থাকছে ওই অভিযানে। যাতে তল্লাশিতে কোনও খামতি না থাকে, তার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডের এক জন ইনস্পেক্টরকে শুক্র, শনি ও রবিবার রাতে তল্লাশির সময়ে থাকতে বলা হয়েছে।