দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট করতে ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটতে থাকা দু’টি মোটরবাইকের মধ্যে সংঘর্ষেই কি মৃত্যু হয়েছে তিন তরুণের? মঙ্গলবার রাতের দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে এমনটাই মনে করছেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। অর্থাৎ, লরির পিছনে ধাক্কা মারার তথ্যটি ঠিক না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
তদন্তকারীদের মতে, দু’টি মোটরবাইক দ্রুত গতিতে পাশাপাশি যাচ্ছিল। সেই সময়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরবাইক অন্যটিতে ধাক্কা মারে। তাতেই এই অঘটন বলে অনুমান তাঁদের। মোটরবাইক দু’টির গতি সেই সময়ে ঘণ্টায় অন্তত ১০০ কিলোমিটার থাকায় দু’টিই তুবড়ে যায় বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বাসন্তী হাইওয়ের বগডোবা বিআইটি কলেজের কাছে ওই দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃত তিন তরুণের নাম প্রদীপ নস্কর, শুভদীপ লাহা এবং অচ্যুতানন্দ গাইন। প্রদীপ এবং অচ্যুতানন্দের বয়স ১৮ ও ১৯ বছর। শুভদীপের বয়স ২৪ বছর। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ২২ বছরের রাকেশ দাসের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। শুভদীপের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। বাকি তিন জনের বাড়ি ভাঙড়ের বামনঘাটায়।
লালবাজার সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পরে মনে করা হয়েছিল, কোনও চলন্ত লরির পিছনে মোটরবাইক দু’টি ধাক্কা মারায় এই অঘটন। বুধবারই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পরিদর্শনের পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, মোটরবাইক দু’টির নিজেদের মধ্যে ধাক্কা মারাই ওই দুর্ঘটনার কারণ। তদন্তকারী এক অফিসার জানান, মোটরবাইক দু’টির অবস্থা দেখে মনে করা হচ্ছে, তীব্র গতিতে ছুটতে ছুটতে তাদের নিজেদের মধ্যেই ধাক্কা লেগেছিল। কারণ, লরি বা অন্য কিছুর পিছনে ধাক্কা মারলে সেটির নীচে চলে যাওয়ার কথা দ্রুত গতিতে থাকা মোটরবাইকের। তেমনটা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট করতে ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আপাতত পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।