Kolkata

চাঁদার জুলুমের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখান, পুলিশকে নির্দেশ নগরপালের

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোষ্ট করা কয়েকটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৪৯
Share:

অনুজ শর্মা। —ফাইল চিত্র

চাঁদার জুলুম রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শহরের সমস্ত থানার ওসি এবং বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনারকে চাঁদা নিয়ে জুলুমের অভিযোগের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোষ্ট করা কয়েকটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে। গতকাল সন্ধ্যায় সোহিনী সমাদ্দার নামে এক মহিলা কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে অভিযোগ জানান। তিনি লিখেছেন, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার রিমাউন্ট রোডে কাঁটাপুকুর মর্গের কাছে কয়েক জন যুবক বাস দাঁড় করিয়ে কালীপুজোর জন্য চাঁদা চাইছিল। ওই মহিলা সেই বাসেই ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ওই যুবকরা ধর্মতলাগামী ওই বাস আটকে বাসের চালক এবং কন্ডাকটরের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চালক তা দিতে অস্বীকার করলে বাস আটকে রাখে তারা।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই শুভনীল ঘোষ নামে অন্য এক যাত্রী ঠিক একই রকম অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশকে ই-মেল করে। বিষয়টি নজরে আসতেই সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারকে অভিযোগের সত্যতা জানতে নির্দেশ দেন নগরপাল। জানা যায়, কলকাতার অনেক প্রান্তেই এই ঘটনা ঘটছে। এর পরেই সমস্ত থানার ওসি এবং ডিসিদের চাঁদার জুলুম কড়া হাতে রোখার নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, থানার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকেও এই ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন নদরপাল। কারণ ঘটনাগুলি ঘটছে রাস্তায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাঁচ মিনিটে তিনজনকে কি একাই খুন করেছিল উৎপল? এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ

অনুজ শর্মা কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বার বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অর্থাৎ থানার পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ট্রাফিক পুলিশ সতর্ক হলে অনেক অপরাধ বা গন্ডগোল আগে থেকেই সমাধান করা সম্ভব। বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত তিন দিন ধরে ওই সমস্যা বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে চাঁদা দাবি করছে স্থানীয় কিছু যুবক।”

আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থা চলছে! ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করা হয়েছে আমাকে: কার্নিভাল নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল

পুলিশ সূত্রে খবর, নগরপালের নির্দেশ পাওয়ার পরেই রাস্তায় বাড়তি টহলদারি শুরু করেছে বিভিন্ন থানার পুলিশ। চাঁদার জুলুম হলেই অবিলম্বে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেও বলা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement