প্রতীকী ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অচেনা লোকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নাবালিকাদের বিপদে পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তবে ভুয়ো প্রোফাইল থেকে কাউকে হেনস্থা করে পার পেয়ে যাওয়াও সব সময়ে সহজ হচ্ছে না। টালা থানা এলাকার এক স্কুলছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ বার ভোপাল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে এনেছে পুলিশ। শুক্রবার শিয়ালদহের দু’নম্বর কোর্টে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ধৃতদের জামিন নাকচ হয়ে যায়। ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশ জানায়, ইনস্টাগ্রামে যৌন হেনস্থার শিকার ১৬ বছরের ওই কিশোরী শহরের এক নামী কনভেন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত সেপ্টেম্বরে টালা থানার দ্বারস্থ হয় সে। অভিযুক্ত যুবকের আসল নাম অনুকূল বাজাজ (১৯)। পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে তাকে নগ্ন ছবি দিতে বাধ্য করেছিল অভিযুক্ত। সেই ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিল ইন্টারনেটে। বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্র অনুকূল বাবা নির্মল বাজাজের নামে কেনা স্মার্টফোন ব্যবহার করেছিল। নির্মলবাবুকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের মাধ্যমে স্কুলছাত্রীটির সঙ্গে অভিযুক্তের বন্ধুত্ব হয় মাস চারেক আগে। কিছু দিনের মধ্যেই ওই কিশোরীর ছবি ‘মর্ফ’ করে নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করে অনুকূল। সত্যিকারের নগ্ন ছবি চেয়ে শাসানি দেয়। অভিযোগকারিণীর নকল কিছু ছবিও তৈরি করে। ভয় পেয়ে কিশোরী নিজের ছবি পাঠায়। তদন্তে নামে টালা থানার পুলিশ। ওই ভুয়ো প্রোফাইলের আইপি অ্যাড্রেস বা ইউআরএল কোড সংগ্রহ করে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে জানায় তারা। এর পরে অতিরিক্ত ওসি সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সদলবল ভোপালে গিয়ে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেন। বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মা জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ১২ ও ১৪ ধারা, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ই এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি, ১২০বি, ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।