প্রতীকী চিত্র।
কলকাতার কোথায় কোন ধরনের অপরাধ বাড়ছে, সেই অপরাধ দমনে কী করা যেতে পারে, পুলিশকর্তাদের বৈঠকে মূলত এ সবই প্রাধান্য পায়। কিন্তু বুধবার কলকাতা পুলিশের নগরপালের সঙ্গে থানার ওসি এবং পদস্থ কর্তাদের বৈঠকে শুধু অপরাধ নয় আলোচনা চলল অঙ্গদান নিয়ে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অর্পিতা চৌধুরী। দুই চিকিৎসক পুলিশ কর্তাদের বোঝান অঙ্গদানের খুটিনাটি। অঙ্গদান নিয়ে চিকিৎসকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তারাও।
করোনা মোকাবিলায় জেলার পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের নাইট কার্ফু এবং নাকা চেকিং জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই নির্দেশের কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নিয়েই সব থানার ওসি এবং পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করেন নগরপাল। ওই বৈঠকেই পরে যোগ দেন দুই চিকিৎসক। করোনা পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেয়েছে অঙ্গদান প্রক্রিয়া। সাধারণ মানুষের ইচ্ছা থাকলেও কোথায় যোগাযোগ করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। পাশাপাশি রাস্তায় দুর্ঘটনার পর ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা থেকে শুরু করে অঙ্গদানের সময় গ্রিন করিডোর করে সঠিক সময়ে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ দ্রুত এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, প্রতি ধাপেই দরকার পরে পুলিশি সহযোগিতার। তাই অঙ্গদান নিয়ে পুলিশকর্মীরা সচেতন থাকলে এই কাজে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবারের বৈঠকের পর পুলিশ আধিকারিকদের অঙ্গদানের অঙ্গীকারপত্রও দেওয়া হয়। সব থানাতে ওই অঙ্গীকার পত্র রাখার অনুরোধও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।