Dead

দরজা ভেঙে অচৈতন্য দম্পতিকে উদ্ধার, পরে মৃত্যু বৃদ্ধের

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবব্রত চৌধুরী (৭৮)। তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা চৌধুরী (৭৫) বর্তমানে আর জি কর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৪১
Share:

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই দম্পতি কিছু খেয়েছিলেন যার জন্যই দু’জনেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। প্রতীকী ছবি।

বৃদ্ধ ও অসুস্থ স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে একাই থাকেন। কয়েক দিন আগে বৃদ্ধ পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পেয়েছেন। তাই পরিজনেরা মঙ্গলবার ওই বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আনতে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বলেছিলেন। সেই মতো ওই সেন্টারের এক কর্মী বাড়ি গেলেও ওই দম্পতিকে ডেকে সাড়া পাননি। তিনি ঘটনাটি দম্পতির পরিজনদের জানালে তাঁরা এসে দরজা ভেঙে দেখেন, মেঝেয় পড়ে রয়েছেন দু’জনে। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যুহয় বৃদ্ধের।

Advertisement

মঙ্গলবার, জোড়াবাগান থানার মানিক বসু ঘাট স্ট্রিটের একটি বহুতলে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবব্রত চৌধুরী (৭৮)। তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা চৌধুরী (৭৫) বর্তমানে আর জি কর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক।

ওই দম্পতি কিছু খেয়েছিলেন বলেই পুলিশের অনুমান। যার জেরে দু’জনেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁদের ঘর থেকে পুলিশ প্রচুর ওষুধ উদ্ধার করেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে বৃদ্ধের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিঃসন্তান ওই দম্পতির দেখাশোনা করতেন আত্মীয়েরা। বাড়িটির তেতলায় থাকতেন দেবব্রত ও স্বস্তিকা। অন্য তলায় থাকেন আত্মীয়েরা। পুলিশ জেনেছে, কিছু দিন আগে পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পান দেবব্রত। কিন্তু তাঁকে সেবা করার ক্ষমতা ছিল না স্ত্রী স্বস্তিকার।

Advertisement

লালবাজারের এক কর্তা জানান, ওই দম্পতির আর্থিক অবস্থাও ভাল ছিল না। বছর দশেক আগে রবীন্দ্র সরণিতে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত প্রিন্টিং প্রেস বিক্রি করে দিয়েছিলেন দেবব্রত। সেই টাকাতেই সংসার চলত তাঁদের। ফলে তদন্তে কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement