যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও বোর্ডকেই অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হবে না। সব বোর্ডকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
গত বছর পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে বোর্ডগুলির পড়ুয়াদের আবেদনের অনুপাতের ভিত্তিতে আসন বণ্টন হত। স্বভাবতই এ ক্ষেত্রে বেশি হত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়ার সংখ্যা। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়ারা সংখ্যায় বেশি ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু এ বার সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ।
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের যুক্তি, এই নিয়ম তুলে দিলে গোটা রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ছাত্রছাত্রীদেরই বঞ্চিত করা হবে। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন বলে জানালেন বিজ্ঞান শাখার ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পূজা বর্মণ। তিনি বলেন, ‘‘যাদবপুরে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পড়ুয়ারা অনেক কম খরচে পড়তে পারেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে সেই সব ছাত্রছাত্রীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হারাবেন। তাই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি আমরা।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)-র সাধারণ সম্পাদিকা নীলাঞ্জনা গুপ্তও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ‘‘যাদবপুর রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সে-ক্ষেত্রে রাজ্যের বোর্ডের পড়ুয়াদের কিছুটা অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত,’’ বলেন নীলাঞ্জনাদেবী। স্নাতক কলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে এমন কোনও সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ এখনও নেননি বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘কলা বিভাগে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হলে আমরা প্রতিবাদ করব।’’