পটুয়াটোলায় সিপিএম কার্যালয়ের।নিজস্ব চিত্র।
এবার খোদ কলকাতার বুকেই সিপিএম পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম-এর দাবি, স্থানীয় আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানাকে জানিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে তাদেরই তিন জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রামে আক্রান্ত হয়েছে বিজেপির কর্যালয়। সেই ঘটনাতেও সরাসরি অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এলাকার পটুয়াটোলা লেনে সিপিএমের জোড়াসাঁকো-১ এরিয়া কমিটির কর্যালয়েও যেন অবিকল তারই অ্যাকশন রিপ্লে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগদ। সিপিএম নেতা নিখিল মাইতির অভিযোগ, ‘‘সুঁটিয়ার প্রতিবাদী বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুদিনের কর্মসূচি নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করছিলাম, সেই সময় বেশ কয়েক জন তৃণমূলকর্মী জোর করে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দেওয়া হয়।’’ এতেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সিপিএমের দাবি, বাধা পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা সাময়িকভাবে এলাকা ছাড়লেও, কিছু ক্ষনের মধ্যে তারা আরও বেশি সংখ্যায় লোকজন নিয়ে ফিরে আসে। শুরু হয়ে যায় ইটবৃষ্টি। সিপিএমের দাবি, সেই সময় দলীয় কর্যালয়ে বেশ কয়েক জন মহিলা কর্মী ছিলেন। তাঁরা আটকে পড়েন। সিপিএম নেতা নিখিল মাইতির দাবি, হামলার মুখে পড়ে তাঁরা আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিয়োগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো পুলিশ আসেনি।
আরও পড়ুন: যারা যত খেয়েছে, তারা তত হেরেছে জঙ্গলমহলে!
আরও পড়ুন: গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে গোলমাল, টহল দিচ্ছে র্যাফ, থমথমে ঝাড়গ্রাম
অভিযোগ, সিপিএম দফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। তারা জোর করে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে হাতাহাতি বেধে যায়। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, হামলা চালানো হয়েছিল সিপিএম কার্যালয় থেকেই। পরের দিকে পুলিশ এলেও, উত্তেজনায় রাশ টানতে মধ্যরাত গড়িয়ে যায়। অশান্তির জেরে ডিওয়াইএফআই নেতা অপ্রতিম বসু, এসএফআই নেতা দীপক সিংহ এবং অর্জুন রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাসকদের কথা শুনেই নিরাপরাধদের পুলিশ ধরছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।