ফাইল চিত্র।
হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর থার্ড রেল তৈরি করা হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। ইতিমধ্যেই ওই থার্ড রেল বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছে। লোহার চেয়ে অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহণ অনেক দ্রুত হয়। তাই খরচ একটু বেশি হলেও আধুনিক প্রযুক্তি মেনে অ্যালুমিনিয়াম দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে থার্ড রেল।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম-গড়িয়া মেট্রোয় এখন যে থার্ড রেল রয়েছে, তা লোহার। লোহার মধ্যে দিয়ে পরিবাহিত হলে কিছুটা বিদ্যুৎ নষ্ট হয়। অ্যালুমিনিয়ামে তা হবে না। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ছ’কিলোমিটার রাস্তায় ট্রেন চলাচল করবে। ওই পথে রয়েছে ছ’টি স্টেশন— সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ওই ছ’টি স্টেশনই মাটির উপরে (এলিভেটেড)। তার পরে সুভাষ সরোবর থেকে সুড়ঙ্গে ঢুকছে মেট্রো।
মাটির নীচের স্টেশনগুলি হল: ফুলবাগান, শিয়ালদহ, ধর্মতলা, মহাকরণ, হাওড়া এবং হাওড়া ময়দান। মেট্রোর ওই কর্তা জানান, দিন সাতেকের মধ্যে দু’টি নতুন রেক কলকাতায় আসছে। ছয় বগির ওই রেকগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে সল্টলেকের কারশেডে সেগুলির ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হবে। তার পরে আরও একটি রেক আসবে। ধাপে ধাপে ছ’টি স্টেশনের মধ্যে ‘ট্রায়াল’ হিসেবে ট্রেন চালানো হবে। আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিনে বাণিজ্যিক ভাবে ট্রেন চালানো শুরু হবে বলে ঠিক হয়েছে।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকার আগে একটি ‘ক্রসওভার’ করা হচ্ছে। সেখানে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকছে। সেই সঙ্গে এক লাইন থেকে অন্য লাইনে ট্রেন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। ধর্মতলার আগে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারেও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তবে রেলের কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি এখনও এলাকা পরিদর্শনে আসেননি। তিনি ফিট সার্টিফিকেট দিলেই বাণিজ্যিক ভাবে ট্রেন চালানো হবে। তার আগে স্টেশনের কাজ চলছে। আলো লাগানোর পাশাপাশি কারশেডকেও সাজানো হচ্ছে রেক মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।