প্রথম বার মায়ের কথা বললেন শুভব্রত

শেষ দু’দিন তিনি বারবার বাড়ি যেতে চাইছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাড়িতে ৯০ ছুঁইছুঁই বাবা আছেন। তা ছাড়া, কিছু জরুরি কাজ রয়েছে, বাড়ি যাওয়া দরকার। সোমবার বেহালার শুভব্রত মজুমদার পাভলভের কর্মীদের কাছে মা বীণাদেবীর কথা বললেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৪৬
Share:

শুভব্রত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।

শেষ দু’দিন তিনি বারবার বাড়ি যেতে চাইছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাড়িতে ৯০ ছুঁইছুঁই বাবা আছেন। তা ছাড়া, কিছু জরুরি কাজ রয়েছে, বাড়ি যাওয়া দরকার। সোমবার বেহালার শুভব্রত মজুমদার পাভলভের কর্মীদের কাছে মা বীণাদেবীর কথা বললেন। প্রথমে জানালেন, মায়ের মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য তিন বছর ধরে পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। তা এখন প্রায় শেষের পথে। তিনি আরও জানান, এর জন্য লন্ডন যাওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কনস্যুলেটের কথা হয়েছে।

Advertisement

যদিও এ দিনের পর্যবেক্ষণের পরেও চিকিৎসকদের একাংশ জানান, ওই যুবকের মানসিক সমস্যা আছে। তবে শুভব্রত ‘মানসিক রোগী’ কি না, তা চিহ্নিত করতে আরও সময় লাগবে। আজ, মঙ্গলবার ফের তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, মস্তিষ্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পরীক্ষা চালাতেন বলে যে দাবি করছেন শুভব্রত, সেটা কতটা সত্যি, তা বিতর্কের বিষয়।

পাভলভের এক চিকিৎসক শুভব্রত প্রসঙ্গে জানান, ওই যুবকের সঙ্গে রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে-র তুলনা টানা যাবে না। কারণ, দু’জনের আচরণের মধ্যে মিল নেই। আর পাঁচ জনের মতো শুভব্রত অনেক কিছু কল্পনা করছেন। কিন্তু সব কল্পনা যে প্রকাশ করতে নেই, সেই বোধ তাঁর কাজ করছে না। কিন্তু তার মানেই মানসিক রোগী নন।

Advertisement

গত বুধবার জেমস লং সরণিতে বাড়ির ফ্রিজার থেকে উদ্ধার হয়েছিল শুভব্রতর মা বীণা মজুমদারের দেহ। বীণাদেবীর মৃত্যুর পরে তাঁর পেনশনের টাকা তুলতেন শুভব্রত। পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিন পাওয়ার পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাভলভে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের মত, কী হয়েছিল তা জানতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণই সবচেয়ে জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement