বৃহস্পতিবার পাভলভে শুভব্রত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র
মাসখানেক আগে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন রোগী হিসেবে। বৃহস্পতিবার আবার গেলেন। এ বার নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে।
তিনি শুভব্রত মজুমদার। বিশ্ব স্কিৎজোফ্রেনিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ দিন পাভলভ মানসিক হাসপাতালে যান তিনি। কারও মানসিক সমস্যা থাকলে তাঁকে ‘পাগল’ তকমা সেঁটে দেওয়ার পরিবর্তে চিকিৎসা করে যাতে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানান।
উল্লেখ্য, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে জেমস লং সরণিতে শুভব্রতের বাড়িতে ফ্রিজার থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মায়ের দেহ। অভিযোগ, তিন বছর আগে মায়ের মৃত্যুর পরেও তাঁর দেহ
ফ্রিজারে রেখে দিয়েছিলেন শুভব্রত। ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে ওই যুবককে পাভলভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিন শুভব্রত ওই অনুষ্ঠানে জানান, মানসিক সমস্যা নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। যে কোনও মানসিক সমস্যায় প্রথমেই রোগীর গায়ে তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। যার জেরে আরও কঠিন হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মানসিক রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সচেতনতা গড়ে না উঠলে সমস্যা যে আরও জটিল হতে পারে, এ দিন সে কথাই বারবার তুলে ধরেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, কেন শুভব্রতকে ডাকা হল? এ ব্যাপারে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের প্রধান সৃজিত ঘোষ বলেন, ‘‘উনি রোগী হিসেবেই এসেছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।’’