ফর্মালিনে ডোবানো মুরগির মাংস বিক্রির প্রমাণ মিলল না কলকাতায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাংসের নমুনা পরীক্ষা করে তেমনই রিপোর্ট মিলেছে বলে জানিয়েছে পুর প্রশাসন।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় মরা মুরগি ফর্মালিনে ডুবিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকটি ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিতও হয়। এর পরে রাজ্য জুড়ে মুরগির মাংস খাওয়া নিয়ে সংশয় জাগে। বাদুড়িয়ার ঘটনা যাতে অন্য কোথাও না ঘটে, তার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই কলকাতা শহরে কাটা মুরগির নমুনা সংগ্রহে নামে পুরসভা। তা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানে। শনিবার সেই রিপোর্ট পুরসভায় এসেছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, রিপোর্টে খারাপ কিছু মেলেনি।
পুরসভা সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে মার্চের শেষের দিকে কলকাতা শহরের বিভিন্ন বাজার, রেস্তোরাঁ, রাস্তার পাশে থাকা খাবারের দোকান থেকে কাঁচা ও রান্না করা মাংস সংগ্রহ করেন পুরসভার ফুড সেফটি অফিসারেরা। প্রায় ৫০টি জায়গা থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পুরসভার ল্যাবরেটরিতে আগেই পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ফর্মালিন থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য ওই নমুনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি এবং বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পাঠানো হয়।
অতীনবাবু জানান, সেখানে পাঁচটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও নমুনায় ফর্মালিন মেলেনি। তবে মাঝেমধ্যেই শহরে মুরগির মাংসের নমুনা সংগ্রহের অভিযান চালাবেন ফুড সেফটি দফতরের কর্মীরা। একই সঙ্গে ভেজাল প্রতিরোধে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে পুরসভার টিম।