রোষ সামলাতে এলাকায় পুলিশ। রবিবার, মুচিবাজারে। নিজস্ব চিত্র
মুচিবাজারে প্রতিবাদ করে প্রহৃত যুবকের মৃত্যু হল। রবিবার, আর জি কর হাসপাতালে। মৃতের নাম লাল্টু মজুমদার (৩৮)। এ দিন ওই যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মুচিবাজার এলাকার বাসিন্দারা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। মুচিবাজারের কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠান চলছিল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে ঘোরানোর সময়ে একটি বাসের মাথায় লেগে তার ছিঁড়ে যায়। তাতে অনুষ্ঠানবাড়িতে বিঘ্ন ঘটে। এ নিয়ে বাসচালকের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ভোলা দাসের প্রবল বচসা শুরু হয়। তখন সেখান দিয়ে মুরারিপুকুরের বাড়িতে ফিরছিলেন লাল্টু। গোলমালের প্রতিবাদ করে চালককে বাস নিয়ে বেরোতে সাহায্য করেন তিনি। অভিযোগ, এর পরেই ভোলার রোষের শিকার হন লাল্টু। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব পালের অভিযোগ, লাল্টুকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি মেরেও ক্ষান্ত হয়নি ভোলা। একটি বিরিয়ানির দোকানের হাঁড়ির ঢাকনা দিয়ে লাল্টুর মাথায় আঘাত করে সে। সঞ্জীবের কথায়, ‘‘দু’ঘণ্টা রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেটা পড়ে ছিল। কেউ সাহায্য করেননি।’’ শেষে লাল্টুকে আর জি করে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভ জমেছিল পাড়ায়। এ দিন প্রতিবাদীর মৃত্যুর কথা ছড়াতেই শোভাবাজারগামী রাস্তায় অবরোধ শুরু হয়। কুড়ি মিনিট অবরোধ চলার পরে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরানো গেলেও উত্তেজনা বহাল ছিল। ভারপ্রাপ্ত ডিসি (ইএসডি) দীনেশ কুমারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী যায়। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করেন বিক্ষোভকারীরা। বৈঠক শেষে অমলবাবু জানান, মৃতের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব তিনি নেবেন।