ফোন করলেই আসবে জল।
গরম পড়তেই হাওড়ায় শুরু হয়েছে জলকষ্ট। তার মোকাবিলায় এমনই ব্যবস্থা করেছে হাওড়া পুরসভা। এ জন্য পুরসভায় সোমবার থেকে বিশেষ সেল খোলা হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা হলে বা পাইপে জল না এলে ট্যাঙ্ক পাঠানো থেকে পুরকর্মীদের খবর দেওয়া, সব কাজই করবে এই সেল। কয়েকটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলেই জল বা সাহায্য পৌঁছে যাবে দোরগড়ায়। আগামী ছ’মাস কাজ করবে এই বিশেষ সেল।
গত পাঁচ বছর ধরে তৃণমূল শাসিত বোর্ড ক্ষমতায় থাকার পরেও পানীয় জলের সমস্যার সমাধান না করে সেল খুলতে হল কেন? পুরসভার থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, গ্রীষ্মে জলের চাহিদা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। এই সমস্যা মেটানো একটি মাত্র জলপ্রকল্পের পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া অবৈজ্ঞানিক ভাবে পাতা পুরনো পাইপলাইনের জন্য সরবরাহের সমস্যা রয়েছে।
গ্রীষ্মে জলকষ্ট হাওড়ায় নতুন কোনও বিষয় নয়। প্রতি বছরই ১ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে তীব্র জলকষ্ট হয়। গত বছর পানীয় জলের সমস্যা মোকাবিলায় পুরসভা কিছুটা সাফল্য পেলেও এ বছর ফের জলকষ্ট শুরু হয়েছে ২৫, ২৬, ৪২, ৪৮-সহ সংযুক্ত এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। পুরসভার দাবি, দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দিতেই এই সেল খোলা হয়েছে।
হাওড়া পুরসভার জলের দায়িত্বে থাকা ছ’নম্বর ওয়ার্ডের বোরো চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরীর দাবি, ‘‘জলসঙ্কট মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে নিয়মিত প্রেসার পয়েন্ট পরীক্ষা করা, ভূগর্ভস্থ জলাধারে নজর রাখা ইত্যাদি। ২০ মিলিয়ন গ্যালনের জলপ্রকল্প দু’টির কাজ শেষ হলেই জলকষ্ট মিটবে।