প্রতীকী ছবি।
ই এম বাইপাসে চিংড়িঘাটা এবং ক্যাপ্টেন ভেড়ির কাছে দু’টি ফুটব্রিজ তৈরি করতে চলেছে কেএমডিএ। ওই ফুটব্রিজে ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি এসক্যালেটারও তৈরি করা হবে। ৪০ ফুট দীর্ঘ দু’টি ফুটব্রিজ তৈরির জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন কেএমডিএ-র শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারেরা। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থাকে প্রকল্পের নকশা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে শুরু হবে কাজ।
সম্প্রতি চিংড়িঘাটা মোড়ে দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ওই এলাকা। বাসে আগুন থেকে রাস্তা অবরোধ, বাদ যায়নি কিছুই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায় পুলিশ। তার পরেই এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশ এবং কেএমডিএ-র কর্তারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে দু’টি ফুটব্রিজ তৈরি করা হবে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেই শুরু হয়েছে তৎপরতা।
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, চিংড়িঘাটার ফুটব্রিজ বেলেঘাটার দিকে ডালপট্টি থেকে উঠে জলবায়ু বিহারের কাছে নামবে। আর অন্যটি ক্যাপ্টেন ভেড়ির একটু আগে বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে উঠে উল্টো দিকে সল্টলেকে ঢোকার যে সেতু রয়েছে, তার কিছুটা আগে গিয়ে নামবে। এক-একটি ফুটব্রিজ তৈরি করতে পাঁচ কোটি টাকার মতো লাগবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দু’টি ফুটব্রিজের কাজই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা।
কেএমডিএ-র এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ভিআইপি রোড থেকে সল্টলেকের দিকে যাওয়ার জন্য একাধিক ফুটব্রিজ রয়েছে। কিন্তু কোনওটিতেই এসক্যালেটার নেই। উল্টোডাঙাতেও একটি ফুটব্রিজ রয়েছে। সেখানেও এসক্যালেটার নেই। কিন্তু চিংড়িঘাটা এবং ক্যাপ্টেন ভেড়ির সামনে দু’টি ফুটব্রিজেই এসক্যালেটার থাকছে।