প্রতীকী ছবি।
মশা চেনানো হচ্ছে একশো দিনের প্রকল্পের কর্মীদের। কারণ, তাঁরাই নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি যান। মশার আঁতুড় খুঁজে বার করে তা নষ্ট করেন। সঙ্গে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী করণীয়, কী করা উচিত নয়, এমন নানা কিছু তাঁরাই বলে থাকেন নাগরিকদের। তাঁরা যাতে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা ঠিকঠাক চিনতে পারেন, তাই বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। গত শনিবারই সুকান্ত মঞ্চে মশা চেনানোর পাঠ দেওয়া হয় একশো দিনের প্রকল্পের কর্মীদের।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একশো দিনের প্রকল্পের কর্মীরা বড় ভরসা পুরসভার। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের প্রশিক্ষিত করার জন্য বিশেষ শিবির গত বছর থেকেই চালু করেছে পুরসভা। চলতি বছরের শুরু থেকেও ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে পুরসভা। সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ শিবিরও। শনিবারই পুরসভার তিন নম্বর বরো অফিসের তরফে এরকম একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে একশো দিনের প্রকল্পের কর্মীদের মশা চেনার পাঠ দেওয়া হয়। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘একশো দিনের প্রকল্পের কর্মীরাই তো বাড়ি বাড়ি যান। তাঁরাই তো ডেঙ্গি রুখতে কী করতে হবে, কী করতে হবে না, তা বলেন। তাই তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। শিবিরগুলিতে সে কথাই বলা হচ্ছে।’’ ইতিমধ্যে একাধিক বরোতে এমন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। আগামী দিনে ১১ ও ১২ নম্বর বরো অফিসে ওই শিবিরের আয়োজন করা হবে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘শিবিরগুলিতে মশা চেনানো হচ্ছে। হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে কী ভাবে ডেঙ্গির বিরুদ্ধে সকলে মিলে লড়াই করতে হবে।’’