পরজীবী সংক্রমণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি বাঘিনী মারা গিয়েছে জামশেদপুরে। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানান, বাঘ-সহ সব প্রাণীর খাঁচা নিয়মিত সাফসুতরো করা হয়। জামশেদপুরের ঘটনার পরে বাঘের খাঁচা আরও বেশি পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি জামশেদপুরের টাটা স্টিল জুওলজিক্যাল পার্কে সাড়ে সাত মাস বয়সি একটি বাঘিনী মারা যায়। সোমবার রাতে মারা যায় অহানা নামে আর একটি সাড়ে তিন বছরের বাঘিনী। ওই চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বিপুল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বেবিসিওসিস’ নামে এক ধরনের সংক্রমণে ভুগছিল তারা। আটুল নামে এক ধরনের পরজীবীর কাম়ড়ে এই রোগ হয়। সংক্রমণের ফলে দেখা দেয় রক্তাল্পতা। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পশুরা। পশু চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরমেই এ ধরনের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
আলিপুর চি়ড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসবাবু জানান, নিয়ম মেনে সব পশুকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। বাঘের ক্ষেত্রে সম্প্রতি রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাতে কোনও রকমের সংক্রমণ বা দুর্বলতা ধরা পড়েনি। ‘‘তা-ও সাবধানের মার নেই। জামশেদপুরের ঘটনা শোনার পর থেকে আমরা অতিরিক্ত সতর্ক হয়েছি,’’ বলছেন তিনি।
সম্প্রতি ভিন্ রাজ্য থেকে সিংহ এবং জাগুয়ার এসেছে আলিপুরে। এই ধরনের প্রাণীদের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয় বলে চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে ওই প্রাণীগুলিকে মাসখানেক আলাদা ভাবে রেখে নজরদারিও চালানো হয়। চিড়িয়াখানার কর্তাদের দাবি, ওই প্রাণীগুলির ক্ষেত্রেও এখনও পর্যন্ত কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।