গ্যারাজে আগুন, আতঙ্ক বস্তিতে

এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ৫/৫/১ চাউলপট্টির বন্ধ গ্যারাজের ভিতর থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন আশপাশের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন দমকলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫০
Share:

ভস্মীভূত: তখনও পুরোপুরি নেভেনি আগুন। সোমবার, বেলেঘাটার গ্যারাজে। ছবি: শৌভিক দে

গ্যারাজে আগুন লেগে পুড়ে গেল একাধিক গাড়ি। সোমবার দুপুরে বেলেঘাটা চাউলপট্টি এলাকার ঘটনা।

Advertisement

দমকল জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে আগুন ওই গ্যারাজের পিছনে থাকা বস্তিতেও ছড়িয়ে পড়েছিল। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দমকল ও পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ৫/৫/১ চাউলপট্টির বন্ধ গ্যারাজের ভিতর থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন আশপাশের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন দমকলে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি।

Advertisement

দমকল জানিয়েছে, ওই গ্যারাজের পিছনেই রয়েছে বস্তি এলাকা। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ১৬৭/এইচ/৩২ বেলেঘাটা মেন রোডে ওই বস্তিতেও। গ্যারাজ লাগোয়া বস্তির এক দিকে থাকা পরপর পাঁচটি বাড়ির চালে আগুন
ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখেই বাড়িগুলি থেকে লোকজনকে বার করে আনেন আশপাশের বাসিন্দারা। প্রতিটি বাড়িতেই গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগে সেগুলিকে বার করার চেষ্টা হয়।

এমনই একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দা মঞ্জু দাস নামে এক প্রৌঢ়া। দিন পনেরো আগে তাঁর ছানি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আচমকা আগুনের ধোঁয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্লাবের লোকজন তাঁকে বার করে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। পাশেই আর একটি ঘরে ছিলেন বাসুদেব পাল ও তাঁর স্ত্রী। একটি ঘরে জায়গার অভাবে ছেলে-বউমা অন্য দিকে থাকেন। দূর থেকে আগুনের হল্কা দেখে দৌড়ে এসে তাঁরা বাবা-মাকে বার করে নিয়ে যান।

তবে বস্তির লোকেদের বক্তব্য, ঘটনাটি দুপুরে ঘটায় সকলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁদের কথায়, গ্যারাজ থেকে যে ভাবে টায়ার ফাটার আওয়াজ আসছিল আর আগুনের হল্কা বেরোচ্ছিল, তাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি। তবে তড়িঘড়ি গ্যাস সিলিন্ডারগুলি বার করে নেওয়ার ফলেই ঘরগুলিতে আগুন বেশি ছড়ায়নি বলেই তাঁদের দাবি। কিন্তু রাতে এই আগুন লাগলে ঘটনাটি ভয়াবহ আকার নিতে পারত বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা।

অন্য দিকে, কাঁকুড়গাছির একটি বহুতল আবাসনের মিটার বক্সে এ দিন বিকেলে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফুলবাগান থানার পুলিশ ও দমকল। মিটারের কাছে থাকা অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে পুলিশ প্রথমে আগুন নেভাতে যায়। কিন্তু সেগুলি খারাপ ছিল বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে বালি জোগাড় করে আপৎকালীন ভিত্তিতে আগুন নেভাতে শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আগুন আয়ত্তে আনে। মিটার ঘরটি বাইরে থাকায় কোনও আবাসিকের ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে দমকল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement