Kolkata News

কারা মারল! চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুন

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীরা কে কাকে জড়িয়ে ধরবেন, কে কাকে চুমু খাবেন, সেটা তো একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে কার কী বলার থাকতে পারে?

Advertisement

অরুণাভ ঘোষ

কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

সিড়ির রেলিঙে ঠেসে ধরে শুরু হল বেদম মার। সঙ্গীকে বাঁচাতে তখন অসহায়, উদভ্রান্ত তরুণী। নিজস্ব চিত্র।

এ দেশে রাস্তায় প্রকাশ্যে ঘুষ চাওয়ায় কোনও অপরাধ নেই, কেউ অন্তত প্রতিবাদ করবে না। কিন্তু বিরাট অপরাধ হয়ে যায় প্রকাশ্যে কেউ জড়িয়ে ধরলে বা চুমু খেলে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীরা কে কাকে জড়িয়ে ধরবেন, কে কাকে চুমু খাবেন, সেটা তো একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে কার কী বলার থাকতে পারে?

Advertisement

আবার বলি, কে কোথায় কাকে চুমু খাবেন আর কে কোথায় কাকে আলিঙ্গন করবেন, তাতে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর অধিকার নেই। তবে এ সব দৃশ্য কারও কাছে অশালীন ঠেকতে পারে। যদি তা হয়, তা হলে পুলিশে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। কিন্তু তা বলে কারও গায়ে হাত তোলা বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারওরই নেই। সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে যা খুশি করবেন এমনটা হতে পারে না। হতে পারে না, কারণ সে অধিকার নাগরিককে রাষ্ট্র দেয়নি।

আইনের বাইরে গিয়ে কেউ নীতিপুলিশি করতে গেলে, সেটা বেআইনি হিসেবেই বিবেচিত হয়। আইনে যা নিষিদ্ধ তার প্রতিকার একমাত্র পুলিশ এবং রাষ্ট্রই করতে পারে। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার ঘটনা এ দেশে নতুন কোনও ইস্যু নয়। গণপ্রহারের মতো বিষয় আমাদের আগেই নজরে এসেছে। বিস্তর জলঘোলাও হয়েছে সে নিয়ে। কিন্তু তার পরেও ঘটে চলেছে এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই।

Advertisement

সিঁড়ির রেলিঙে ঠেসে ধরে শুরু হল বেদম মার। সঙ্গীকে বাঁচাতে তখন অসহায়, উদভ্রান্ত তরুণী। ​নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় আলিঙ্গনাবদ্ধ থাকা বা চুমু খাওয়া আইনত নিষিদ্ধ নয়। প্রাপ্তবয়স্করা এমনটা করতেই পারেন। কারও যদি তাতে আপত্তি থাকে, পুলিশের কাছে যান। পুলিশ বুঝে নেবে, কী পদক্ষেপ করতে হবে।

দমদম মেট্রো স্টেশনে যে গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনছি, তা আইনত দণ্ডনীয়। কারা এই গণপ্রহারে অংশ নিলেন, তা অবিলম্বে চিহ্নিত করা হোক। প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement