রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিজেপি প্রতিনিধিরা নিজস্ব চিত্র
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আদালতে যেতে পারে বিজেপি। এমনই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দেখা করার সাক্ষাতের পর এমনটাই জানালেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চলছে এই নির্বাচন কমিশন। এরা নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। শান্তিপূর্ণ ভোট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আমরা আদালতে যেতে পারি।’’ বিজেপি এই দাবি করলেও বামেরা অবশ্য তা এড়িয়েই চলছে। তাদের মতে, শান্তিপূর্ণ ভোট করতে যা ব্যবস্থা করা দরকার কমিশন যেন তা করে।
কলকাতা পুরভোট নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সুষ্ঠু ভোট করতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন, তা জানতে চান তিনি। এবং এই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার হবে কি না সে ব্যাপারে কমিশনের অবস্থান জানাতে বলেছেন রাজ্যপাল। আগামী শনিবারের মধ্যে কমিশনারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাতে বলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবারই কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি-র প্রতিনিধি দল। সেখানেই অর্জুন জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট না হলে তাঁর দল আদলতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করবে।
একই দাবি করেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই আমাদের মহিলা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। পুলিশ কমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ করেছি। তা ছাড়া ভুয়ো আইপিএস, আইএএস-এর মতো হয়তো ভোটের দিন ভুয়ো মহিলা পুলিশ ঢুকে যাবে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে।’’
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সিপিএম প্রতিনিধিরা নিজস্ব চিত্র
বাম প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বাহিনী নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। বাম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তারা তো রাজ্য দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে। তাই তাতে লাভ কিছু হবে না। আমরা বরং কমিশনকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানোর ব্যাপারে নিশ্চিত করতে বলেছি।’’
অন্য দিকে কমিশন জানিয়েছে, এ বারের ভোটে বুথে ছাড়া বাইরের এজেন্ট দিতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। এ নিয়ে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের আমরা বিরোধিতা করেছি। আমরা বলেছি বুথ নয় ওয়ার্ড ভিত্তিক এজেন্ট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’’ একই দাবি জানিয়েছে বামেরাও।