প্রতীকী ছবি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতা পুরসভার আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হল। তাঁর নাম রকিবুদ্দিন আহমেদ (৬২)। তঁার বাড়ি কড়েয়া রোডে। পুরসভার ১৫ নম্বর বরোর স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন তিনি। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ওই পুর চিকিৎসক। গত
দশ দিনের মধ্যে একই বরোয় এই নিয়ে দু’জন পুর চিকিৎসকের মৃত্যু হল। এই খবরে ইতিমধ্যেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দিন দশেক ধরে রকিবুদ্দিন অসুস্থ ছিলেন। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসলে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান তিনি। সংশ্লিষ্ট বরো কোঅর্ডিনেটর রণজিৎ শীল বলেন, ‘‘দিন দশেক আগে বরোয় কর্মীদের যে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল, সেখানেই রকিবুদ্দিনবাবুর করোনা ধরা পড়ে। তার পরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।’’ প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে এই বরোর অন্তর্ভুক্ত ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত আর এক পুর চিকিৎসক দিবাকর দাসেরও করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
এ দিকে ১৫ নম্বর বরো ছাড়াও মাসখানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন অমিত পাখিরা নামে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী। এ ছাড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই আপাতত বন্ধ রয়েছে পুর ভবনে ওই দফতরের আধিকারিকদের অফিস। শুক্রবার ওই দফতরের
চিকিৎসক-সহ মোট ৩৫ জন কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে তাঁদের সকলেরই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে বলেই খবর। আগামী মঙ্গলবার থেকে ওই কর্মীরা কাজে আসতে পারবেন বলেও পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন।
পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য ইতিমধ্যে সদর দফতর ছাড়া বিভিন্ন বরোতেও কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করানোর উপরে গুরুত্ব দিয়েছেন। পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি বরোতেও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি অন্য পুরকর্মীদেরও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুরসভার সদর দফতরের কাছে রক্সি সিনেমা হলে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরকর্মীদের জন্য। ১৫ নম্বর বরো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বরোর সদর দফতর ছাড়াও এর প্রতিটি ওয়ার্ডেই করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।