মৃত একটি কুকুরছানার দেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার, জোকায়। নিজস্ব চিত্র।
জোকার একটি আবাসনে একাধিক কুকুরছানাকে বিষ খাইয়ে মারার ঘটনায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ পুরসভারই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে জোকা মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ওই আবাসনে একাধিক কুকুরছানার মৃত্যুর ঘটনায় আবাসনের তরফে হরিদেবপুর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই পুরসভার ডগ পাউন্ডের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। তবে পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, শনিবার বিভাগের প্রতিনিধিরা জোকার ওই আবাসনে গেলে একাধিক অসঙ্গতি তাঁদের চোখে পড়েছে। বিশেষত, কুকুরছানাদের মৃত্যুর ঘটনায় আবাসিকদের একাংশই যে দায়ী, সে বিষয়ে নিঃসংশয় হয়েছেন পুর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা। পুরসভা জানিয়েছে, ওই আবাসনের যেখানে পাঁচটি কুকুরছানার দেহ পড়ে ছিল, তার আশপাশে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই পরিষ্কার হবে, কে বা কারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
অতীতে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এবং বেশ কয়েকটি আবাসনে কুকুরছানাদের মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী, পুরসভা জোর করে পথকুকুরদের এলাকাছাড়া করতে পারে না। এর আগে শহরের বিভিন্ন আবাসন বা এলাকা থেকে কুকুরদের তুলে নিয়ে যেতে পুরসভার ডগ পাউন্ডে বার বার ফোন করা হয়েছে। পুরসভার এক পশু চিকিৎসক বলেন, ‘‘পুরসভা কোনও কুকুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় ছাড়তে পারে না। শুধু কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বীজকরণ করতে পারে। জোকার আবাসনে একটি কুকুর ছাড়া সব কুকুরেরই নির্বীজকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও কারণে একটি কুকুরের নির্বীজকরণ করা সম্ভব না হওয়ায় সে সম্প্রতি একাধিক বাচ্চা প্রসব করে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, জোকার আবাসনে পরিদর্শনে যাওয়া প্রতিনিধিদল চলতি সপ্তাহেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে রিপোর্ট দেওয়ার পরে পুরসভার তরফে হরিদেবপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।