একের পর এক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত মেট্রো পরিষেবা।—ফাইল চিত্র।
মেট্রোযাত্রা এখন প্রায় বিভীষিকার পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহরের একমাত্র ‘লাইফলাইন’ অথচ সেই মেট্রোতে ওঠার নাম শুনলেই যাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কে কাঁপেন। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি তাঁদের স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে, কখন কী ঘটে যায়, কিচ্ছু বলা যায় না!
হিসাব বলছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত লাখ যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করেন। প্রায় প্রতি দিনই তাঁরা কোনও না কোনও ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। কখনও মাঝপথেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে মেট্রোর রেক। কখনও আলো-পাখা-এসি বন্ধ। কখনও বা গেট খোলা রেখেই সুড়ঙ্গ পথে দৌড়চ্ছে মেট্রো। কখনও রেকের তলায় আগুন ধরে যাচ্ছে। কখনও ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে মেট্রোর কামরা। কখনও আবার মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা থামিয়ে দিচ্ছে পরিষেবা। এ সবের সঙ্গে সময়ে না চলার মতো অভিযোগ তো রয়েইছে। আর গোটা বিষয়টি নিয়ে কার্যত উদাসীন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মাঝে মাঝে ছোটখাটো বিবৃতি দিয়েই দায় সেরে ফেলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে মেট্রো যাত্রীরা তিতিবিরক্ত। অথচ, ‘লাইফলাইন’কে উপেক্ষাও করতে পারছেন না তাঁরা।
কিন্তু, কেন মেট্রোর এমন হাল? আসলে মেট্রো পরিকাঠামো ব্যবস্থায় যে কার্যত ঘূণ ধরে গিয়েছে, সেটা তার বাইরের চাকচিক্য দেখে বোঝা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। ঘুণ ধরা মেট্রোর হালহাকিকত নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের অর্ন্ততদন্তে উঠে এল অনেক কিছুই।
মেট্রো বৃত্তান্ত...সবিস্তার দেখতে Read More-এ ক্লিক করুন
রেক সমস্যা
নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২৮ কিলোমিটার। কলকাতা মেট্রোর ভাঁড়ারে এখন ১২টি এসি রেক রয়েছে। তবে সেগুলিকে অত্যাধুনিক বলা যাবে না। নন-এসি রেক রয়েছে ১৩টি। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি রেক সেই কলকাতা মেট্রোর জন্মলগ্ন থেকে রয়েছে। যাত্রী পরিবহণ করতে করতে তারা ক্লান্ত! মেরামতি করে চালানো হলেও মাঝে মাঝে তারা দেহ রাখে। পুরনো রেকগুলো মেরামতি করতে গিয়ে দেখা যায়, যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, জোড়াতাপ্পি দিয়েই চালানো হচ্ছে রেকগুলি।
এসি রেক নিয়েও রয়েছে নানা সমস্যা। অনেক সময় সেগুলো খারাপ হলে চটজলদি ঠিক করার মতো মেকানিক খুঁজে পাওয়া যায় না। নতুন চারটি এসি রেক প্রায় দু’বছর ধরে নোয়াপাড়া কারশেডে পড়ে রয়েছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে সেগুলো তৈরি করা হলেও, ত্রুটি ধরা পড়েছে। রেলের ‘রিসার্চ, ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন’ গত প্রায় দু’বছর ধরে সেগুলো নিয়ে নানা পরীক্ষা করেই যাচ্ছে।
অন্য দিকে, চেন্নাইয়ের ‘ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি’ এবং চিন থেকে আরও অন্তত ৩০টি নতুন রেক কেনার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেগুলো কবে আসবে, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো কর্মীদের একটা অংশের দাবি, যতদিন না নতুন রেক নামানো যাচ্ছে, এভাবেই চলবে।
মেট্রোর রেকে আগুন লাগার পর অসুস্থ যাত্রীকে বার করে নিয়ে আসা হচ্ছে।—ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকুন, নয়া বছরে সেনাকে প্রথম নির্দেশ চিনা প্রেসিডেন্টের
বাড়ন্ত মেট্রোকর্মী
সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন দক্ষ এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মীর। মেট্রো পরিবার এখন সেই কর্মীর অভাবে ভুগছে। যেমন, এই মুহূর্তে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার জন্য সব মিলিয়ে মোট ২৫৯ জন মোটরম্যান অর্থাৎ মেট্রোচালক প্রয়োজন। এমনটাই জানাচ্ছেন মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের সেক্রেটারি শিশির মজুমদার। তাঁর আরও দাবি, মেট্রোর হাতে রয়েছে সব মিলিয়ে ১৯২ জন মোটরম্যান। ঘাটতি ৬৭ জন। অথচ চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা অনেক বেশি। ওই কম সংখ্যক চালক দিয়েই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাত লাখ যাত্রীকে পরিষেবা দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো! কর্মীদের একাংশ এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সংশ্লিষ্ট মহলে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
আশ্চর্যের আরও বাকি আছে! ওই ১৯২ জন মোটরম্যানের মধ্যে ১০০ জনই ‘ভাড়া’ করা। তাঁদের হয় পূর্ব রেল বা দক্ষিণ-পূর্ব রেল থেকে ডেপুটেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু, মেট্রো চালানোর গোটা পদ্ধতিটাই তো আলাদা! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেট্রোর এক কর্মী জানাচ্ছেন, ডেপুটেশনে নিয়ে আসা ওই চালকদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে মেট্রো চালানো হচ্ছে।
মেট্রোর জানলার কাচ ভেঙে নামানো হচ্ছে যাত্রীদের।—ফাইল চিত্র।
কেন এমন অবস্থা? ওই কর্মী জানাচ্ছেন, ২০১২ সালের পর থেকে মেট্রোচালকের পদে আর নিয়োগ হয়নি। ডেপুটেশনে আসা চালকদেরই বা ভবিষ্যৎ কী, তা-ও স্পষ্ট নয়।
শুধু মোটরম্যান নয়, মেট্রোর প্রায় প্রতিটি বিভাগেই কর্মী বাড়ন্ত। ‘সিগন্যালিং অ্যান্ড ট্রাফিক’ আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। সেই বিভাগে প্রায় ৪৬ শতাংশ কর্মী নেই। ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগে নেই প্রায় ৪৩৫ জন কর্মী। একই রকম ভাবে স্টোর, অ্যাকাউন্টস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগেও কর্মীর টানাটানি। কর্মীদের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, নতুন নিয়োগ না করে, কী ভাবে ভাল পরিষেবা দেওয়া সম্ভব?
শিশিরবাবুর কথায়, ‘‘কলকাতা মেট্রো কার্যত ভাড়া করা সৈনিক দিয়ে চলছে। কর্মীর অভাব যেমন রয়েছে, তেমনই পুরনো রেকের উপর ভরসা করায় পরিষেবাও ব্যহত হচ্ছে। যে কোনও দিন বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।’’
নেভানো হচ্ছে মেট্রোর আগুন।—ফাইল চিত্র।
কমিটি থাকলেও বিপর্যয় মোকাবিলার লোক নেই
মেট্রোয় হঠাৎ বিপর্যয় ঘটলে বা আগুন লাগলে, কারা উদ্ধার করবে যাত্রীদের? গত মাসের শেষের দিকে ময়দান স্টেশনের কাছে মেট্রো রেকের তলায় আগুন লাগার ঘটনার পর এই প্রশ্নটি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, নোয়াপাড়া এবং টালিগঞ্জে দু’টি দমকল কেন্দ্র করা হয়েছে। দু’একটি গাড়িও রয়েছে সেখানে। কিন্তু, প্রশিক্ষিত কর্মী নেই। নিয়োগের কোনও চিন্তা ভাবনা রয়েছে কিনা, সেটা বলতেও দ্বিধা মেট্রো কর্তাদের।
মেট্রোয় বিপর্যয় হলে তা মোকাবিলার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিতে ট্র্যাফিক, সিকিউরিটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এবং মেডিক্যাল বিভাগের এক জন করে কর্মী রয়েছেন। ওই কমিটি তিন মাস অন্তর বৈঠক করে। তারাই সব দিকে নজর রাখে। কিন্তু, মেট্রোর ভিতরে কোনও বিপদ ঘটলে ওই কমিটি কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে? তার জন্য তো মোকাবিলা বাহিনী প্রয়োজন! এ প্রশ্নে নীরব মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কেন বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে মেট্রোর অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মীদের সঙ্গে ‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স’ (এনডিআরএফ) এবং ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস’ (এনএসজি)-এর সঙ্গে নিয়মিত মহড়া হয়। তাতে ওই পাঁচ জন ছাড়াও মেট্রোর অন্য কর্মীরা থাকেন। কিন্তু, ময়দানে মেট্রো বিপর্যয়ের পর কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যের দমকল বিভাগের উদ্ধারকারী দলের উপরেই নির্ভর করতে হয় মেট্রোকে। তাহলে ওই কমিটি থেকে লাভ কোথায়? দিল্লি বা অন্য শহরে যে মেট্রো চলে, তার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রয়েছে। কলকাতার কেন থাকবে না, উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্যের দমকল দফতর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে মেট্রোকে ইতিমধ্যেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি স্টেশনে যথেষ্ট সংখ্যায় কর্মী রাখতে হবে। নিয়মিত মহড়া করতে হবে। এছাড়া ঠিকঠাক রাখতে হবে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও।
উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অসুস্থ যাত্রীকে।—ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে চাপে ফেলে উত্তরপ্রদেশে জোট বাঁধছেন মায়া-অখিলেশ, তবে ব্রাত্য কংগ্রেস
আরও যেখানে সমস্যা
মেট্রোর স্মার্ট কার্ড এবং টোকেন গেটের রক্ষণাবেক্ষণের কর্মীও বাড়ন্ত। মেট্রোর একটা সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ওই গেটগুলো মেরামতি করা হত। প্রায় ৫২ জন গেটগুলো দেখভাল করতেন। এখন সেই সংস্থার পরিবর্তে, মেট্রোরই ৫ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তাতে কাজ হবে কী করে? প্রশ্ন মেট্রো কর্মীদেরই।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ঘোষণা করা হয় না। কেন দেরি হচ্ছে বা এই মুহূর্তে যাত্রীদের কী করা উচিত, তা নিয়ে ন্যূনতম খেয়ালও রাখা হয় না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। সেই অভিযোগ যে অমূলক নয়, তা মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকাতে স্পষ্ট।
লাইনচ্যূত মেট্রো থেকে বার করে আনা হচ্ছে যাত্রীদের।—ফাইল চিত্র।
মেট্রোয় ঝাঁপ
এরই সঙ্গে রয়েছে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা। বারংবার একই ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা রুখতে মেট্রো কার্যত ব্যর্থ। স্টেশনে স্টেশনে আরপিএফ নিরাপত্তা বাড়িয়েও কোনও কাজে আসেনি। ওই রকম পরিস্থিতিতে যে দ্রুততার সঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে পরিষেবা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা, তা কোনও ক্ষেত্রেই দেখা যায় না। এমন একটা ঘটনা ঘটলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।
অনেক জায়গার মেট্রোতেই প্ল্যাটফর্মে এক ধরনের দরজা লাগানো থাকে। মেট্রো ঢুকলে তার দরজার সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের দরজাও খোলে। ফলে লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার মতো ঘটনা কোনও ভাবেই সম্ভব হয় না। বর্তমান মেট্রো পরিকাঠামোয় ওই রকম দরজা লাগানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ ভাবেই জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।—নিজস্ব চিত্র।
মুনাফা বাড়ছে, পরিষেবা তলানিতে
দিনে গড়ে ৩০০টি মেট্রো চলে। উৎসব এবং বিশেষ দিনে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। গত নয় মাসে অর্থাৎ ২০১৮-র ১ এপ্রিল থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোর আয় বেড়েছে প্রায় ৪.৩২ শতাংশ। কিন্তু, আয় বাড়ার সঙ্গে পরিষেবার যে কোনও সম্পর্ক নেই, তা মেট্রোয় উঠলেই বোঝা যাচ্ছে।
কী বলছেন যাত্রীরা
মেট্রোর এই পরিষেবা নিয়ে যাত্রীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। বেহালার বাসিন্দা মধুমন্তী ঘোষ প্রতি দিন রবীন্দ্র সরোবর থেকে মেট্রো বেলগাছিয়া যান। তাঁর কথায়, “প্রতি দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেট্রোয় যাতায়াত করছি। সময়ে তো চলেই না, উল্টে নিরাপত্তা নেই। এ ভাবে কি আর শহরের লাইফলাইন চলানো যায়!’’
এসপ্ল্যানেড স্টেশনে দাঁড়িয়ে জয়ন্তকুমার মান্না বললেন, ‘‘মেট্রোয় আগুন লাগার পর এসি মেট্রোতে চড়তেই ভয় পাচ্ছি। যদি আবার আগুন লেগে যায়?’’
একই রকম আতঙ্কিত দেবাঞ্জন দাস। তিনি বললেন, “সব পুরনো রেক দিয়ে পরিষেবা চালানো হচ্ছে। নতুন রেক কেন আনা হয় না? আমরা তো টিকিট কেটে মেট্রোয় উঠি। ফ্রি-তে তো চড়ছি না!’’
আর মেট্রোয় চড়লে এ সব কথা আরও হাজার রকম ভাবে শোনা যাচ্ছে।
মেট্রোর জবাব
কলকাতা মেট্রোর পদস্থ এককর্তা অন্তর্তদন্তে উঠে আসা সব তথ্য শুনে বললেন, “কর্মীর অভাব রয়েছে। তবে, কাজ করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘‘মেট্রো পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, এমনটা বলা যাবে না।” তিনি জানিয়েছেন, কারশেডে পড়ে থাকা চারটির মধ্যে দু’টি রেক খুব তাড়াতাড়ি নামানো হতে পারে। আরও অত্যাধুনিক রেক আনার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছেও বলে দাবি করেন তিনি।
অন্য দিকে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় সবটা শুনে বলেন, “পরিকাঠামো এবং যাত্রী পরিষেবা উন্নতির জন্য নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)