কর্তৃপক্ষের এই দাবি সত্ত্বেও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না আধিকারিকদের একাংশ। সমস্যার আসল কারণ কী, তা খোঁজার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল রেলকর্তাদের অনেকে।
এমন সমস্যায় আগে পড়েনি মেট্রো। ফাইল চিত্র।
মাত্রাতিরিক্ত হারে এসি রেকের চাকা ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার মেট্রো রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই সমস্যার মোকাবিলায় রেল গ্রাইন্ডিং মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। লাইন মসৃণ করার জন্য রাতে টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে কবি সুভাষ স্টেশনের মধ্যে ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
তবে কর্তৃপক্ষের এই দাবি সত্ত্বেও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না আধিকারিকদের একাংশ। সমস্যার আসল কারণ কী, তা খোঁজার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল রেলকর্তাদের অনেকে। বর্তমানে মেট্রোর সব রেক ঘুরেফিরে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মধ্যে চলে। ফলে নির্দিষ্ট ভাবে লাইনের কোনও বিশেষ অংশের ত্রুটির কারণে এই ক্ষয় বেশি হচ্ছে— সরাসরি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ঠিক নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা।
মেট্রো সূত্রের খবর, অতীতেও এই সমস্যা ছিল। তবে তা এতটা মারাত্মক চেহারা নেয়নি। আইসিএফের নতুন এবং পুরনো রেকের মধ্যে কোন ধরনের রেকে চাকার ফ্লেঞ্জ বেশি ক্ষয়ে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা বেশি জরুরি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তার পরে চাকার উপাদান খতিয়ে দেখার কথাও বলছেন। রেকের চাকার গঠনে কোনও সমস্যা আছে কি না, তা দেখার জন্য আল্ট্রাসোনিক পরীক্ষার পরামর্শও দিচ্ছেন রেলের আধিকারিকদের একাংশ। চাকার ধাতুর রাসায়নিক গঠন পরীক্ষার কথাও বলা হচ্ছে। নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথে পরিষেবা শুরুর আগে ঠিকমতো লাইন মসৃণ না করেই তড়িঘড়ি পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল বলে মনে করছেন রেলের প্রাক্তন আধিকারিকদের একাংশ।
তবে মেট্রোকর্তাদের দাবি, সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ট্রেন চালানো হয়। এত দিন কোনও রকম সমস্যা দেখা দেয়নি। ফলে এই দাবি যথাযথ নয়। সমস্যার কারণ জানতে আরও খুঁটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।