Sherlock Holmes

Kolkata Karcha: কার্টুনে একাই ১০০

রিপন কলেজের লাইব্রেরিতে ওয়ার্ল্ড রিভিউ পত্রিকায় ডেভিড লো, উইন্ডহ্যাম রবিনসন-এর কার্টুন দেখা, শেখা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৪৭
Share:

বারান্দায় চকখড়ি দিয়ে ছবি আঁকা, বাবাকে আসতে দেখে স্লেট উল্টে দেওয়া। বাংলা ইস্কুলে আঁকার ক্লাসে ছবি নকলের মকশো, পরে হাই স্কুলের আঁকার ক্লাসে েদখা গেল, ছেলে ফুল মার্কস পাচ্ছে! উত্তরপাড়া কলেজে কাঁধে ভর করল ‘কার্টুন ভাবনার দুষ্টু-সরস্বতী’— খড়্গনাসা মাস্টারমশাইয়ের বিশেষ মুখভঙ্গির ক্যারিকেচার এঁকে এবং ‘ধরা পড়ে’ শিক্ষকের স্মিতহাসির প্রশ্রয়। ‘আমার কার্টুনিস্ট জীবনের প্রথম পুরস্কার,’ লিখছেন রেবতীভূষণ ঘোষ (১৯২১-২০০৭)। কার্টুনিস্ট পরিচয়ে ভারতখ্যাত তিনি, শিল্পীজীবন ব্যাপ্ত সাত দশক জুড়ে।

Advertisement

রিপন কলেজের লাইব্রেরিতে ওয়ার্ল্ড রিভিউ পত্রিকায় ডেভিড লো, উইন্ডহ্যাম রবিনসন-এর কার্টুন দেখা, শেখা। এই সময়েই তাঁর কার্টুন ছাপা হল সচিত্র ভারত-এ— ধনিক শোষকের পীড়নচিত্র। সওদাগরি আপিসের চাকরির পাশে স্কেচ পোর্ট্রেট ল্যান্ডস্কেপ আঁকা আর অবশ্যই কার্টুন, এরই মধ্যে সাক্ষাৎ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। অপেক্ষার অবসরে এঁকেছিলেন অবনীন্দ্রনাথের আরামকেদারাখানা, কথার ফাঁকে তাঁর মুখের ছবিও। তা দেখে শিল্পগুরুও খুশি। পরের ন’বছর শিখেছেন তাঁর কাছে, অনন্য সে শিক্ষা।

আনন্দবাজার পত্রিকা-য় ১৯৪৫-৪৬’এ প্রথম ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশিত হয় রেবতীভূষণের। এঁকেছেন কাগজে ‘মৌমাছি’-র পাতায়, শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা-য়, ব্যঙ্গাত্মক অলঙ্করণ করেছেন দেশ-এও। হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড-এ রাজনৈতিক কার্টুন, এ ছাড়া সত্যযুগ, যুগান্তর, দৈনিক বসুমতী, অমৃতবাজার, কৃষক কাগজে; অচলপত্র, শনিবারের চিঠি-তে, উল্টোরথ, জলসা, প্রসাদ, অমৃত, সিনেমা জগৎ, বেতার জগৎ-এও! শঙ্কর’স উইকলি-তে কার্টুন বেরোতে যোগাযোগ করেন শঙ্কর পিল্লাই স্বয়ং, সেই সূত্রে ১৯৭০-এ দিল্লিতে ‘চিলড্রেন’স বুক ট্রাস্ট’-এ সিনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে যোগদান, একগুচ্ছ ইংরেজি ও হিন্দি কাগজে কার্টুন এঁকে চলা। কার্টুন মুভি তথা অ্যানিমেশন ছবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজনায়, সত্যজিৎ রায় ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, “আপনাকে সঙ্গে নিয়ে একটা কার্টুন ছবি করব।”

Advertisement

সত্যজিতের মতোই তাঁরও জন্ম ১৯২১-এ, গত বছর পেরিয়ে গেল রেবতীভূষণের শতবর্ষ। চলে গেছেন ২০০৭-এ। তাঁর বর্ণিল শিল্পজীবনের পরিচয়বাহী একটি বইয়ের অভাব ছিল, দীর্ঘ আয়াসে সেই চেষ্টাই রূপ পেল লালমাটি প্রকাশনের সদ্যপ্রকাশিত রেবতীভূষণ: শিল্পী ও কার্টুনিস্ট (সম্পাদনা: বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় ও শুভ্রজিৎ চক্রবর্তী) বইয়ে। আছে শিল্পীর আত্মকথন, দুই সম্পাদকের দু’টি লেখা, আর অবশ্যই শিল্পীর আঁকা কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র, গ্রন্থ-অলঙ্করণ, স্কেচ, পোর্ট্রেট। শতবর্ষে রেবতীভূষণের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য এই বই, তাঁর শিল্পকৃতির সংরক্ষণও। ছবিতে ১৯৬৭-তে আঁকা শিল্পীর কার্টুন, পূর্ব পাকিস্তানে বেতারে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে।

শতবর্ষ পেরিয়ে

‘মস্কোর আশেপাশের পাড়া থেকে প্রায়ই পাখি উড়ে আসে চিড়িয়াখানায়। বেশি আসে চড়ুই, মাঝে মাঝে লিনেৎ, বুলফিঞ্চের ভ্রাম্যমাণ ঝাঁক।’ কয়েক দশক আগে ‘মূল রুশ থেকে অনুবাদ’ এই বাক্যগুলো বাঙালির কিশোর চোখে পরাত বিশ্বভ্রমণের মায়াকাজল। ইউক্রেনের রূপকথা, দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন, আন্না কারেনিনা-র মতো বইগুলো ঘিরে সঘন নস্ট্যালজিয়ার মূলে অনুবাদক ননী ভৌমিক (১৯২১-১৯৯৬) (ছবিতে)। আবার এতেই চাপা পড়ে গেছে ধুলোমাটি, ধানকানা, চৈত্র দিন-এর মতো উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ রচয়িতার মৌলিক লেখালিখির ধারা। ১৯৫৭-তে অনুবাদকের চাকরি নিয়ে মস্কো যান, আমৃত্যু ছিলেন সেখানেই। অশোকনগর ফণীভূষণ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে আগামী কাল অহর্নিশ পত্রিকার গ্রন্থাগারে সকাল ১১টা থেকে ননী ভৌমিকের শতবর্ষ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান। কলকাতার কল্পবিশ্ব প্রকাশনও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে তাঁর অনুবাদে বিখ্যাত গ্রহান্তরের আগন্তুক।

মননের ধারা

যুক্তির কঠিন ভিতে সব কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলা আবশ্যক, মনে করেছিলেন শিবনারায়ণ রায় (১৯২১-২০০৮)। মনস্বী চিন্তাবিদ মার্ক্সীয় বিশ্বাস থেকে সরে আসেন নবমানবতাবাদে; যুক্তিকে প্রশ্নের অভ্যাসে নিজেকেও সন্দেহ করেছেন, অন্তিমে নস্যাৎ করেছেন নবমানবতাবাদকেও। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার নামও জিজ্ঞাসা, মানবতাপন্থী আন্দোলনের পরিচালনায় উনিশ শতকের রেনেসাঁসের ঐতিহ্য সেখানে স্মৃত বার বার। প্রয়াণের পরেও তাঁর মননের ধারাটি জারি রেখেছে ‘শিবনারায়ণ রায় স্মারক সমিতি’, ২০ জানুয়ারি তাঁর জন্মদিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘রামমোহন: শাস্ত্রকে যিনি শস্ত্র করেছিলেন,’ বিষয়ে বলবেন শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায়। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের তিন তলায় রেনেসাঁস সভাগৃহে, বিকেল ৪টেয়।

তোমায় গান...

আখতারি বাইয়ের গানে শিপ্রা বসু, দাদাঠাকুরের রঙ্গগানে বাবু রামকুমার, কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের গলায় অতুল-রজনী-দ্বিজেন্দ্রগানের নতুন রেকর্ডিং, ‘ভায়োলিন ব্রাদার্স’-এর বেহালা বা রবীন্দ্রনাথের কালানুক্রমিক রচনার কয়েক পর্বের অ্যালবাম ‘গানের রতনহার’, নব্বইয়ের দশক থেকে এ সবই সিডি আকারে প্রকাশিত। প্রযোজক কলকাতার জগবন্ধু স্কুল আর সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী অতনু বিশ্বাসের ‘বিশ্বাস রেকর্ডস’, ঠিকানা আমেরিকার ডেলাওয়ারে, এখন ইলিনয়। ক্যাসেট এখন অদৃশ্য, অ্যানালগ রেকর্ডিং গুণমানে সিডি-প্রযুক্তিতে তত জুতসই নয়, এই অবস্থায় অতনুবাবু আধুনিক প্রকৌশলে বাঙালিকে চিরায়ত গানবাজনা শোনানোয় উদ্যোগী হয়েছেন। কীর্তিমান কৃষিবিজ্ঞানী, বহু আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত মানুষটির সঙ্গীতপ্রেমের ফসল ফলছে এখন ‘বিশ্বাস রেকর্ডস’ ইউটিউব চ্যানেলে, তাঁর প্রযোজিত দেড়শোরও বেশি অ্যালবাম সেখানে আসছে ক্রমান্বয়ে।

অন্য ইতিহাস

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশভাগের জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের এ শহরে চলে আসা বদলে দিয়েছিল কলকাতা ও শহরতলির মানচিত্র। খালি জমি বা পরিত্যক্ত বাগানবাড়ি অঞ্চলে অস্থায়ী আবাস ও কলোনি গড়ে থাকতে শুরু করেন উদ্বাস্তু মানুষরা, যে যাঁর সামর্থ্য মতো। বিরাটি দমদম বেহালা থেকে আনোয়ার শাহ যাদবপুর বাঘাযতীন বিজয়গড় গড়িয়া, সবই সাক্ষী তার। আর ঢাকুরিয়া, প্রাচীন বাংলা গল্পে যার উল্লেখ নায়কের স্বাস্থ্যোদ্ধারের গন্তব্য হিসেবে, একশো বছরে সেও দেখেছে কলকাতার নগরায়ণের রেখচিত্র। আত্মকথার আঙ্গিকে সেই ইতিহাসই উঠে এসেছে সবিতেন্দ্রনাথ রায়ের কলকাতার শহরতলি ও ঢাকুরিয়ায় ৭৫ বছর (মিত্র ও ঘোষ) বইয়ে। সাদা-কালো ছবি, টুকরো টীকা, সহজ গদ্যভাষায় এক খণ্ড কলকাতা-কথা।

নিবেদিতপ্রাণ

অবিভক্ত ভারতের চট্টগ্রামে জন্ম, শিক্ষা ও কর্মজীবন কলকাতায়। অল্প বয়সেই যুক্ত হন বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভার সঙ্গে, পরে এই প্রতিষ্ঠানের সার্বক্ষণিক কর্মে নিবেদিত হন হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী (১৯৪৭-২০২১), ২০১৮ থেকে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। গৌতম বুদ্ধের বাণী ও দর্শন ছিল তাঁর জীবনবেদ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ ছাপিয়ে সব মানুষের সঙ্গে ছিল নিবিড় আত্মীয়তা। সুদক্ষ লেখক ও সম্পাদক তিনি, বৌদ্ধ দর্শন-আশ্রিত প্রাচীন পত্রিকা জগজ্জ্যোতি সম্পাদনা করেছেন, মহাবোধি, বোধিভারতী পত্রিকাও, ত্রিশেরও বেশি বই— বুদ্ধপ্রণাম, বুদ্ধচেতনার গল্প, বোধিসত্ত্ব আম্বেদকর, রাহুল সাংকৃত্যায়ন স্মারকগ্রন্থ, অশোক ২৩০০। দেশ-বিদেশের বহু সম্মানে ভূষিত, অমায়িক, বন্ধুবৎসল মানুষটি প্রয়াত হলেন গত ১৭ ডিসেম্বর।

ক্যালেন্ডারে ওঁরা

সেই কবে, দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ গল্পে এডগার অ্যালান পো তৈরি করেছিলেন গোয়েন্দা চরিত্র সি অগাস্ত দুপ্যাঁ-কে, ‘ডিটেকটিভ’ শব্দটাও নাকি তখন তৈরি হয়নি। সেই পথ বেয়েই শার্লক হোমস-সহ অন্য তাবড় গোয়েন্দা চরিত্রের জয়যাত্রাপথ, গোয়েন্দা সাহিত্যের রূপরেখা তথা বৈশিষ্ট্যগুলোও স্পষ্ট হল ক্রমে। জি কে চেস্টারটনের ফাদার ব্রাউন, আগাথা ক্রিস্টির এরকুল পোয়রো, মিস মার্পল আর টমি-টাপেন্স, টিনটিন-স্রষ্টার অনবদ্য গোয়েন্দা-জুটি, আলেকজ়ান্ডার ম্যাকল স্মিথের নারী গোয়েন্দা প্রেশাস র‌্যামোতসোয়ে থেকে চিরচেনা ব্যোমকেশ-ফেলুদা, অপরাধ-কাহিনির দুঁদে ইনস্পেক্টরকুল, কিশোর গোয়েন্দা-দল হার্ডি বয়েজ়, এনিড ব্লাইটনের ফাইভ ফাইন্ড-আউটারস বা নলিনী দাশের গোয়েন্দা গন্ডালু— ভালবাসার গোয়েন্দাদের নিয়ে চমৎকার, অন্য রকম ডেস্ক ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে ‘হার্টিস্টিক’। ক্যালেন্ডারের ভাবনা থেকে ছবি, ডিজ়াইন, েলখা, সবই করেছেন পাঁচ বন্ধু— তিথিপর্ণা উজ্জ্বল অয়ন তৃণা সিদ্ধার্থ। শব্দের খেলা মাথায় রেখে ক্যালেন্ডারের নামটিও বেশ, ‘ডেট উইথ ডিটেকটিভস’। ছবিতে শার্লক হোমস, ক্যালেন্ডার থেকে নেওয়া।

স্বজন স্মরণে

“যদি এই নাট্যগোষ্ঠী প্রথম বাংলা অ্যাবসার্ডের কথাই ভাবছিলেন, তাহলে কেন তাঁরা আরো একটু ভেঙে দিলেন না চরিত্র নির্মাণরীতি, অভিনয়রীতি?”— থিয়েটার পত্রিকায় শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘কিমিতি’ পুনঃপ্রকাশিত ‘অন্য থিয়েটার’-এর নাট্যপত্র অন্য/ the Other-এর ‘শঙ্খ ঘোষ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণে’ সংখ্যায় (নির্বাহী সম্পাদক: মলয় রক্ষিত)। ১৯৯৮-এ কৌশিক সেনকে লেখা শঙ্খবাবুর একটি চিঠি মুদ্রিত, আর তাঁর নাট্যচিন্তা নিয়ে লিখেছেন ভবেশ দাশ দেবাশিস মজুমদার সৌমিত্র বসু সীমা মুখোপাধ্যায় সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শেখর সমাদ্দার। আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত-পরিচালিত নাটকের আলোচনা উৎপল দত্ত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পবিত্র সরকার সুব্রত ঘোষ প্রমুখের কলমে। মেঘনাদ ভট্টাচার্য লিখেছেন, “শিশিরকুমার ভাদুড়ির পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকাতেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাধারণ রঙ্গালয়।” বিশেষ আকর্ষণ বিভাস চক্রবর্তী-কৃত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার। ছবিতে শিল্পী হিরণ মিত্রের করা প্রচ্ছদ।

পিঠে-পার্বণ

অঘ্রানের নবান্ন থেকে পিঠে তৈরির আলাপ শুরু, সেটাই ঝালায় বাজে পৌষ সংক্রান্তিতে। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী স্মৃতিকথায় ঠাকুরবাড়ির পৌষ পার্বণে রাশিকৃত পিঠে তৈরির কথা লিখেছেন, কাজে লোক কম পড়লে ডাক পড়ত বাড়ির মেয়ে-বৌদের। সরুচাকলি, আসকে, পুলি, মুগের ভাজা পিঠে, পাটিসাপটা, মালপোয়া, রসবড়া, গোকুল পিঠে তৈরিতে পারদর্শিতা মেয়েমহলে নজর কাড়ত। ব্যস্ত জীবনে এখন বাড়িতে পিঠে তৈরি ঠেকেছে একটি-দু’টিতে, বা দোকানের পাটিসাপটাই ভরসা। সংক্রান্তি গেল, পিঠে-পার্বণ ঘিরে সেই মিঠে সুর কই?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement