ভরদুপুরে যানজট, ভোগান্তি

কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ এজেসি বসু রোড উড়ালপুলের পশ্চিমমুখী লেনের উপরে একটি তেলের ট্যাঙ্কার খারাপ হয়ে যায়। তার জেরেই ঘণ্টা খানেকের উপর প্রচণ্ড যানজটের কবলে পড়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, মা উড়ালপুল, পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে শুরু করে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০০:৪৬
Share:

গতিহারা: বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার। পরপর দু’দিন এই দৃশ্যই দেখা গেল মা উড়ালপুলে। ছবি: সুমন বল্লভ

কর্মব্যস্ত দুপুরে যানজটের কবলে মহানগর। শুক্রবার তারই জেরে নাজেহাল হতে হল শহরবাসীকে।

Advertisement

কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ এজেসি বসু রোড উড়ালপুলের পশ্চিমমুখী লেনের উপরে একটি তেলের ট্যাঙ্কার খারাপ হয়ে যায়। তার জেরেই ঘণ্টা খানেকের উপর প্রচণ্ড যানজটের কবলে পড়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, মা উড়ালপুল, পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে শুরু করে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস। যার জেরে স্কুলগাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, পথে আটকে পড়ে সবই।

প্রথমে সাউথ ট্র্যাফিক গার্ড থেকে রেকার এনে সেটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা দিয়ে ট্যাঙ্কার সরানো যায়নি। ফলে সাউথ-ওয়েস্ট ট্র্যাফিক গার্ড থেকে আনা হয় বড় রেকার। তার সাহায্যে অবশেষে সরানো হয় খারাপ হয়ে যাওয়া ট্যাঙ্কারটি।

Advertisement

কিন্তু এই টানাপড়েনের মাঝেই কেটে গিয়েছে ঘণ্টা খানেক। যার ফলে এজেসি বসু রোড উড়ালপুল ছাড়িয়ে গাড়ির লাইন লম্বা হতে হতে পৌঁছয় পার্ক-সার্কাস, মা উড়ালপুল ছাড়িয়ে ই এম বাইপাসেও। গাড়ির চাপ সামলাতে না পেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সংলগ্ন আরও কিছু এলাকাও। ফলে পরে ট্যাঙ্কার সরানো গেলেও যানজট কাটাতে আরও অনেকটাই সময় চলে যায়। মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দা সুলেখা সিংহ জানান, যানজটে আটকে আধ ঘণ্টার পথ পেরোতে প্রায় সওয়া ঘণ্টা লেগে যায় তাঁর। যার ফলে মেয়ের স্কুল ছুটির আগে সায়েন্স সিটি থেকে সল্টলেকে পৌঁছতেই পারেননি তিনি।

তবে ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের যানজট মূলত ট্যাঙ্কার উল্টোনোর জন্য হলেও তা কাটতে সময় লাগে দু’টি রাজনৈতিক দলের মিটিং থাকার ফলে। বিকেল চারটে নাগাদ একটি সমাবেশ ছিল হাজরা মোড় ও সংলগ্ন এলাকায় এবং অন্যটি ছিল মৌলালিতে। ফলে ওই দুই অঞ্চলের লাগোয়া এলাকাতেও যানজটে আটকে পড়ে ভুগতে হয় শহরের বাসিন্দাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement