ফিরে পাওয়া: সুভাষ সরোবর সংলগ্ন উদ্ধার করা হয়েছে এই জমিই। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
সুভাষ সরোবর সংলগ্ন প্রায় ৫০০ কাঠা জমি পুনরুদ্ধার করল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। আপাতত এই জমি ঘেরার ব্যাপারে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সমীক্ষার পরে ওই জমি সুভাষ সরোবরের সঙ্গেই যুক্ত করা হবে। ওই জমিতে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারকে সেখানেই পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, পুনরুদ্ধার হওয়া জমিতে দু’টি বড় জলাশয় রয়েছে। তৎকালীন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের (কেআইটি) অধীন সেই জমিতে একটি বড় রাস্তাও তৈরি করা হয়। ওই জায়গা বহু দিন ধরে খালি পড়ে থাকায় কিছু পরিবার সেখানে থাকতে শুরু করেছিল। অভিযোগ ওঠে, জলাশয়ে কাপড় কাচা-সহ অনেক কাজ হয়। যার জেরে নষ্ট হচ্ছে জল। সেই সঙ্গে আবর্জনায় ভরে উঠেছে এলাকাটি। সম্প্রতি কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভা যৌথ আলোচনায় জমি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় কাউন্সিলর পবিত্র বিশ্বাস জানান, ওখানে কিছু ঝুপড়ি ও গাড়ির গ্যারাজ রয়েছে। একটি অংশে আবাসন করে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। ওই জলাশয় যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের পেশা কাপড় কাচা। ফলে প্রচুর পরিমাণ সাবানে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জলের জীববৈচিত্র। সমীক্ষার পরে ওই জমি ঘিরে দেওয়া হবে। বাকি অংশ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হবে।
কেএমডিএ আধিকারিকেরা জানান, পড়ে থাকা জমি পুনরুদ্ধার করে ‘ল্যান্ডব্যাঙ্ক’ তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল আগেই। পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজন মতো সেই জমির ব্যবহার করা হবে। দক্ষিণ কলকাতায় ইতিমধ্যেই কিছু জমি চিহ্নিত হয়েছে। সেখানেও জমি ঘেরার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।