ছবি সংগৃহীত।
মেট্রোপলিটনের কাছে ইএম বাইপাসের উপরে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর স্তম্ভ তৈরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ওই জায়গায় ইএম বাইপাসের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে যাওয়ার কথা মেট্রোর। যার জন্য ইএম বাইপাসের উপরে তিনটি স্তম্ভ তৈরি করতে হবে। দু’দিকের স্তম্ভ তৈরি হয়ে গেলেও ওই তৃতীয় স্তম্ভটি তৈরির কাজ শুরু হয়নি।
কেন ওই অনিশ্চয়তা?
সূত্রের দাবি, সপ্তাহ দু’য়েক আগে মেট্রোপলিটন এলাকায় কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মেট্রো রেলের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের কর্তারাও। সেখানেই কেএমডিএ আধিকারিকেরা বাইপাস এবং মেট্রোপলিটনের সংযোগস্থলে একটি স্তম্ভ তৈরি নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানান। কেএমডিএ-র দাবি, প্রস্তাবিত ওই স্তম্ভের নকশা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানান, নকশা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জায়গায় স্তম্ভটি নির্মাণ করলে সরাসরি মেট্রোপলিটনের দিক থেকে আসা গাড়িগুলি ই এম বাইপাসে উঠতে বাধা পাবে। ফলে মেট্রোপলিটনের দিক থেকে বাইপাসে সরাসরি যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে। তবে ওই একটি স্তম্ভ ছাড়া ওই রাস্তার উপরে প্রস্তাবিত অন্য দু’টি স্তম্ভের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, মেট্রো আধিকারিকদের বলা হয়েছে, তাঁরা নকশার ওই অংশটির পরিবর্তন করে তা বাস্তবায়িত করার আগে ফের যেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও এই ব্যাপারে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও কোনও সাড়া মেলেনি বলে কেএমডিএ-র দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসে ওই স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে অবশ্য ময়লা খালের পরেই একটি ধাবা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা চওড়া করার কথা ছিল মেট্রোর। কিন্তু তারা তা করেনি বলে অভিযোগ পুলিশের। ওই রাস্তা চওড়া না করে বাইপাস আটকে কাজ শুরু করলে ব্যাপক যানজট হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তাই তারা অন্য দু’টি স্তম্ভ নির্মাণের আগে রাস্তা চওড়া করার কাজ শেষ করতে অনুরোধ জানিয়েছে মেট্রোকে।
কেন যানজটের আশঙ্কা পুলিশের?
পুলিশ সূত্রের দাবি, যেখানে ওই স্তম্ভ দু’টি নির্মাণের কথা রয়েছে, সেই জায়গায় বাইপাস সব চেয়ে কম চওড়া। ফলে নিত্যদিন সেখানে যানজট লেগে থাকে। এর সঙ্গে স্তম্ভ দু’টি নির্মাণের জন্য রাস্তা আটকে কাজ শুরু করলে যানজট ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে পুলিশের দাবি। সে কথা মাথায় রেখেই পূর্ত দফতর ময়লা খালের উপরে সেতুর বর্ধিত অংশের কাজ শুরু হয়েছে। যা শেষ হলে প্রতিদিন ওই এলাকায় যানজট কমবে বলে আশা পুলিশের।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই স্তম্ভ ওই জায়গা থেকে সরানো সম্ভব নয়। ওই স্তম্ভ সরালে প্রকল্প নষ্ট হয়ে যাবে। বিকল্প হিসেবে রাস্তা তৈরি করা যেতে পারে বলে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে।