প্রতীকী ছবি।
একা করোনায় রক্ষা নেই, আমপান দোসর।
করোনা, আমপানের জোড়া ধাক্কায় কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন দফতরের আয় তলানিতে ঠেকেছে। বিজ্ঞাপনে কর আদায় বাড়াতে, বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে কাছে টানতে কিছু পদক্ষেপ
করতে চলেছে পুরসভা। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির থেকে প্রথম তিন মাসে কোনও করের টাকা নেওয়া হবে না। পরের তিন মাসে বিজ্ঞাপন বাবদ মোট করের ৭৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। তার পরের তিন মাসে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির কাছ থেকে কর আদায় করতে পারবে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমারের কথায়, ‘‘লকডাউনের জেরে শহরের হোর্ডিং, বিজ্ঞাপন থেকে আয় যথেষ্ট কমেছিল। তার উপরে আমপান ঝড়ে শহরের হোর্ডিং, ফ্লেক্স সব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি এবং পুণে পুরসভা বিজ্ঞাপনে কর আদায় বাড়াতে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা পুরসভাও বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে কাছে টানতে একই পথে হাঁটতে চলেছে।’’
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর আগামী বৈঠকে প্রস্তাবটি পেশ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। গত অর্থবর্ষে বিজ্ঞাপন থেকে কর বাবদ আদায় হয়েছিল ২২ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত এই সংগ্রহ এক কোটি টাকাতেও পৌঁছয়নি। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বছরে বিজ্ঞাপন বাবদ কর সংগ্রহের পরিমাণ গড়ে প্রায় কুড়ি কোটি টাকা।
শুধু বিজ্ঞাপন বিভাগই নয়, লকডাউনের জেরে রাজস্ব বিভাগের আদায়ও যথেষ্ট তলানিতে ঠেকেছে। পুরসভার কোষাগারের এমনই হাল যে, পুরকর্মীদের বেতন দিতে রাজ্য সরকারকে টাকা মঞ্জুর করতে হয়েছে। কোষাগারের হাল ফেরাতে গত অক্টোবর থেকে পুরসভা সুদ বকেয়া সম্পত্তিকর আদায়ের ওয়েভার স্কিম চালু করেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ওয়েভার বাবদ মাত্র ১৫০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। যেখানে শহরে বকেয়া সম্পত্তি করের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকা। কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘লকডাউনের জেরে পুরসভার কোষাগারের অর্থসঙ্কট আমাদের যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। তাই আয় বাড়াতে আমরা একাধিক পদক্ষেপ করছি। আশা করছি, এই আর্থিক সঙ্কট শীঘ্রই মিটবে।’’