ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে নাগরিকদের যাতে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সে কারণে ওই কার্ড দেওয়ার জন্য তৈরি হওয়া ওয়ার্ডভিত্তিক শিবিরগুলিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর আধিকারিকদের নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে ‘কড়া’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, এই নির্দেশের নেপথ্য কারণটি হল, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল কিছু কিছু আধিকারিক (ফিল্ড কি অফিসার্স বা এফকেও) সংশ্লিষ্ট শিবিরে দেরিতে পৌঁছচ্ছেন। তার ফলে শিবিরের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে। এর ফলে লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়ে উঠছেন। তার জন্যই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে সম্প্রতি সমস্ত এফকেও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ডিউটির দিন তাঁরা যেন সকাল ১০টায় নির্দিষ্ট শিবিরে পৌঁছে যান।
এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘নাগরিকেরা যাতে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পান, তাঁদের যাতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে না হয়, সে কারণেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করা হতে পারে।’’ এ-ও ঠিক হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ঠিক সময়ে শিবিরে পৌঁছচ্ছেন কি না, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়বে।
পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, এমনিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য কোনও নাগরিক বা পরিবার যখন শিবিরে আসেন, তখন তাঁদের ছবি তোলা বা আঙুলের ছাপ নেওয়া-সহ বিভিন্ন ধরনর কাজ করার জন্য বাইরের সংস্থা বা ‘সার্ভিস প্রোভাইডার’-এর নিয়োগ করা কর্মীরা আছেন। তবে ওই কর্মীরা শুধু কোনও পরিবারের সদস্যের নাম ও তথ্য নথিভুক্ত করে তা ছাপানো বা প্রিন্টের জন্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু প্রিন্টে পাঠানোর পরে যতক্ষণ না দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর আধিকারিক সেটিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অনুমোদন দেবেন, তত ক্ষণ ওই কার্ডের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘যাঁকে কার্ডটি দেওয়া হচ্ছে,তিনিই সেই ব্যক্তি কি না, তা পরিচয়পত্র দেখে ও পুরসভার ডেটাবেসে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে চিহ্নিত করাই হল দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর আধিকারিকের কাজ।’’