KMC

দুই প্রতিনিধির মৃত্যুর পরে হোঁচট খাচ্ছে পুর পরিষেবা

কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মানিকলাল চট্টোপাধ্যায় বার্ধক্যজনিত সমস্যায় মারা যান বছরখানেক আগে।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:০৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দু’জনেই ছিলেন কাউন্সিলর। সেই সঙ্গে বরো চেয়ারম্যানও। এক জন প্রয়াত হয়েছেন বছরখানেক আগে। অন্য জন মারা গিয়েছেন মাসখানেক আগে। অভিযোগ, তাঁদের মৃত্যুর পরে সেই জায়গায় নতুন করে কেউ নির্বাচিত না হওয়ায় বিভিন্ন পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মানিকলাল চট্টোপাধ্যায় বার্ধক্যজনিত সমস্যায় মারা যান বছরখানেক আগে। অন্য দিকে, পাকস্থলীর রোগে আক্রান্ত হয়ে মাসখানেক হল মাত্র ৫৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৬ নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডটি বেহালায়। আর ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড জোকায়। পুরসভা সূত্রের খবর, দু’জায়গায় দুই বরো কোঅর্ডিনেটর না থাকায় এলাকার বাসিন্দারা বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয় সইসাবুদ করানো দরকার, তা করাতে পারছেন না।

পুরসভা সূত্রের খবর, মানিকলালবাবু মারা যাওয়ার পরে বরো কোঅর্ডিনেটরের অস্থায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ নম্বর বরোর এক ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের অভিযোগ, ‘‘মানিকলালবাবু যে ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর ছিলেন, তার আশপাশের কোনও ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটরকে দায়িত্ব দেওয়া হলে ভাল হত। তা হলে তিনি ওই ওয়ার্ডের পাশাপাশি বরো কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্বও পালন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে অপেক্ষাকৃত দূরে থাকা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওঁকে তো অধিকাংশ সময়েই পাওয়া যায়

Advertisement

না।’’ ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রমেন পাইকের অভিযোগ, ‘‘বার্ধক্য ভাতার ব্যাপারে বিশদে জানতে একাধিক বার বেহালার বরো অফিসে গিয়েও অভিজিৎবাবুকে পাইনি। ফোন করলেও বেজে যায়।’’ আর এক বাসিন্দার অভিযোগ, সরকারি বৃত্তির টাকা পেতে প্রয়োজনীয় সইসাবুদের জন্য বরো কোঅর্ডিনেটরকে দরকার। কিন্তু পুরসভার দু’টি বরো এলাকায় ওই গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ১৪ নম্বর বরোর ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অভিজিৎবাবু বললেন, ‘‘আমি নিয়মিত বরো অফিসে যাই। নাগরিকদের সমস্ত অভিযোগ মন দিয়ে শুনি। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করি। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁরা মিথ্যা বলছেন।’’

অন্য দিকে, ১৬ নম্বর বরোর ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর রঘুনাথ পাত্র বললেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডে কোনও কোঅর্ডিনেটর না থাকায় কিছু সমস্যা তো হচ্ছেই। তবে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিক পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’’ এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস করা হলে কোনও জবাব মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement