—প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা মেরামতির সময়ে খোলা রাস্তায় পিচ না গলালে ছড়ায় দূষণ। ফলে এ বার এই কাজে অন্য কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পূর্ত দফতর। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থা নবান্নে পূর্ত দফতরের ডাকা এক সভায় এসে দূষণমুক্ত ভাবে পিচ গলানোর উপায় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে। সেই পিচ ও পাথর মিশিয়ে গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে কী ভাবে রাস্তা তৈরি করা হয়, সেই ছবিও দেখিয়েছে তারা। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে দূষণ কমানো সম্ভব হবে। এই আধুনিক ব্যবস্থা জানার পর থেকেই পূর্ত দফতর, কলকাতা পুরসভা এবং কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা একসঙ্গে তা করার পরিকল্পনা শুরু করার কথা ভাবছে।
পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যে যে কোনও রাস্তা নতুন করে তৈরি করা বা মেরামতির সময়ে প্রথমে সেই রাস্তার ধারে পাথর ফেলা হয়। তার পরে পিচ গলানোর দু’-তিনটি যন্ত্র এনে রাখা হয়। এর ফলে রাস্তার অর্ধেক অংশ পাথর এবং যন্ত্রে আটকে যায়।
পিচ গলানো শুরু হলে তীব্র কালো ধোঁয়া বেসিন থেকে বেরোতে থাকে। এলাকার মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েন। ওই কর্তা বলেন, এমনিতেই ধুলো, বালি এবং গাড়ির কালো ধোঁয়ায় মানুষ নাজেহাল। তার উপরে পিচ গলানোর কালো ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। সম্প্রতি সল্টলেকের সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের সামনে খাল পাড়ের রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। পিচের রাস্তার উপরে পাতা হচ্ছে ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট। পিচ গলানোর সময়ে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা।
পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারিং চিফ শ্রীকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থা আধুনিক পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির নমুনা দেখিয়েছে। আমরা এখানেও তা করতে পারি কি না, আলোচনা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি করা ব্যায় সাপেক্ষ কি না, তা-ও দেখতে হবে।’’