ফাইল চিত্র।
সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফের আরও একটি প্রকল্প স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। ফলে জমি চিহ্নিত করেও সুভাষ সরোবর সংলগ্ন এলাকায় পার্কোম্যাট তৈরির কাজ আপাতত হচ্ছে না। সমীক্ষার পরেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়বে।
সম্প্রতি ধাপায় পশু সৎকারের চুল্লি তৈরির প্রকল্পটি স্থগিত করেন পুর কর্তৃপক্ষ। যুক্তি ছিল, কোভিডে মৃতের সংখ্যার নিরিখে দ্রুত আরও দু’টি চুল্লি তৈরি করতে হবে। সে জন্য পূর্ব নির্ধারিত প্রকল্পের জমিই বেছে নেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে প্রকল্প স্থগিতের যুক্তি, আদৌ কতটা লাভজনক সেটি! নিউ মার্কেট এবং রডন স্ট্রিটে পার্কোম্যাট থাকলেও বড়বাজার, বি বা দী বাগ এবং ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায় এক সময়ে পার্কোম্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। স্থান সঙ্কুলানে তা হয়নি।
স্থানীয় পুর প্রতিনিধি ও গাড়ি পার্কিং সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে সুভাষ সরোবর সংলগ্ন পার্কোম্যাট তৈরির কথা ভাবে পুরসভা। এ জন্য জমিও চিহ্নিত করে। পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রকল্প যৌথ উদ্যোগে করার প্রস্তাব ছিল। একসঙ্গে অনেক গাড়ি রাখার জন্য পার্কোম্যাটটি বহুতল করার কথা ছিল।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, “সুভাষ সরোবরের পাশে একটি বহুতল সংলগ্ন জমি পার্কোম্যাটের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। কিছু সমস্যা থাকায় আপাতত প্রকল্পটি স্থগিত হয়েছে। জমি জরিপ ছাড়াও ওখানে প্রকল্প কতটা লাভজনক হবে, সেই সমীক্ষার পরেই কাজ হবে।’’
যদিও এটি লাভজনক হবে বলেই মনে করছেন প্রশাসকমণ্ডলীর অন্য সদস্য স্বপন সমাদ্দার। তিনি বলেন, “ওই এলাকা থেকে একটু দূরেই সল্টলেক স্টেডিয়াম। দর্শকদের গাড়ি রাখতে জায়গার দরকার। কাছেই একটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। ফলে পার্কোম্যাট হলে তা লাভজনক হবে বলে ধারণা।”
তবে পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, প্রথমত, চিহ্নিত জমিতে কত গাড়ি রাখা যাবে, তার স্পষ্ট হিসেব দরকার। দ্বিতীয়ত এবং মূল প্রশ্ন, ওই অঞ্চলে প্রতিদিন পার্কিংয়ের চাহিদা কত, তার উপরেই নির্ভর করবে পার্কোম্যাট আদৌ লাভজনক কি না। তাঁদের বক্তব্য, স্টেডিয়াম থাকলেও মনে রাখতে হবে রোজ খেলা হয় না। সুতরাং ওই রাস্তায় দৈনিক কত গাড়ি, কত ক্ষণের জন্য রাখা হয় এবং কী ধরনের গাড়ি আসে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট থাকা জরুরি। সেই সমীক্ষাই করা হবে।