Kolkata Municipal Corporation

শহরে সাফাই পরিষেবা নিয়ে পুর হোয়াটসঅ্যাপে ১২৭টি অভিযোগ!

বর্ষা শুরু হতেই মশাবাহিত রোগ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা আবর্জনায় জল জমলে সেখানে মশার বংশবিস্তারের আশঙ্কা থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ০৬:৫১
Share:

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

নাগরিকদের সুষ্ঠু ভাবে পুর পরিষেবা দিতে নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর আগেই চালু করেছিল পুরসভা। ‘শো টু মেয়র’ নামে ওই নম্বর (৮৩৩৫৯৯৯১১১) চালু হয়েছে গত বছরের জুন মাসে। পুরসভা সূত্রের খবর, নম্বর চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পুরসভার কাছে সেখানে ১২৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। শহরে কোথাও আবর্জনা পড়ে থাকলে বা ভ্যাট পরিষ্কার না থাকলে তার ছবি-সহ বিস্তারিতবিবরণ নাগরিকেরা সরাসরি পাঠাচ্ছেন ওই নম্বরে। বর্ষার শুরুতে মশাবাহিত রোগ নিয়ে পুরসভার চিন্তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর শহর পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক সম্প্রতি বলেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপে আসা প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শহরকে আবর্জনামুক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শহরপরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভার পাশাপাশি, প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সাধারণ মানুষের থেকে পাওয়া অভিযোগের পুরোটাই নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’’

বর্ষা শুরু হতেই মশাবাহিত রোগ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা আবর্জনায় জল জমলে সেখানে মশার বংশবিস্তারের আশঙ্কা থাকে। তাই বর্ষায় শহরকেপরিচ্ছন্ন ও আবর্জনামুক্ত রাখার দিকে জোর দিতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে পুরসভার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে গুরুত্ব দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আগে মেয়রের দফতরের ‘গ্রিভ্যান্স সেল’ এই সমস্ত অভিযোগের সমাধান করত। কারণ, ওই নম্বরে নানা ধরনের অভিযোগ আসত। যে কারণে পুর কমিশনার বিনোদ কুমার প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিকদের তার সমাধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, ওই হোয়াটসঅ্যাপে কেউ অভিযোগ জানালে প্রথমে পুরসভার তরফে অভিযোগকারীকে ফোন করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া হচ্ছে। এর পরে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীরা সেই আবর্জনা পরিষ্কার করে আসছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে আসা অভিযোগগুলির সমাধান না-করা পর্যন্ত এ সম্পর্কিত বিস্তারিত নথি পুর আধিকারিকদের খাতায় লিখেরাখতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কলকাতার রাস্তায় ময়লা ফেললেই জরিমানার নিদান রয়েছে। পুর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রের খবর, প্রথম বার রাস্তায় আবর্জনা ফেলে ধরা পড়লে অভিযুক্তকে দিতে হয় ৫২৫ টাকা। দ্বিতীয় বারের জরিমানা ৭৩৫ টাকা। তার পরেও সেই একই কাজ চালিয়ে গেলে প্রতি বার ১০৩৫ টাকাকরে জরিমানা দিতে হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের একাধিক এলাকায় ইতিমধ্যেই এই জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পুর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অনেকেই রাস্তার ধারে গালিপিটের মুখেপ্যাকেট ভর্তি আবর্জনা ফেলে দিয়ে চলে যান। তাঁরা মনে করেন, পুরসভার কর্মীরাই সাফাই করবে। এই কু-অভ্যাসের জন্য নিকাশি নালা অবরুদ্ধ হয়ে বর্ষায় রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সাধারণমানুষের এই উদাসীনতার ফল ভুগতে হচ্ছে সকলকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement