এই হোর্ডিং ঘিরেই বিতর্ক। — নিজস্ব চিত্র।
শহর জুড়ে কলকাতা পুরসভার হোর্ডিংয়ে লেখা রয়েছে সিঙ্গুর দিবসের কথা।
হোর্ডিংয়ের মাথায় লেখা-১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর দিবস। তার ঠিক তলায় লেখা রয়েছে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৬ দিনের ঐতিহাসিক অনশন এবং আন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত হল মা মাটি মানুযের অধিকার। কলকাতা পুরসভা এলাকায় এবং খোদ পুরসভার হোর্ডিংয়ে সিঙ্গুর দিবসের এই ঘোষণাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
প্রশ্ন উঠেছে, সিঙ্গুর দিবস কলকাতা পুরসভার কোনও অনুষ্ঠান নয়। সিঙ্গুরের একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষিত রয়েছে। সর্বোপরি, সিঙ্গুর কোনও ভাবেই কলকাতা পুরসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা এই ধরনের হোর্ডিং দেয় কী করে?
কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটি কোনও ভাবেই রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। নাগরিকদের পুর পরিষেবা দেওয়া ছাড়াও সমগ্র দেশ জুড়ে কলকাতা পুরসভার একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও কলকাতা পুরসভার গুরুত্ব ছিল অনেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্দোলন ও অনশন ভারতের ঐতিহাসিক আন্দোলনের মধ্যে পড়ে। সেই কারণেই পুরসভা তাদের হোর্ডিংয়ে সিঙ্গুর দিবসের কথা উল্লেখ করেছে।’’
সিঙ্গুর দিবসে পুরসভার হোর্ডিং ব্যবহারের সমালোচনা করে পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের রত্না রায় মজুমদার বলেন, ‘‘সিঙ্গুর দিবসে পুরসভার হোর্ডিং ব্যবহার অনৈতিক। সিঙ্গুর কলকাতা পুরসভার বিষয়ই নয়। পুর এলাকার মধ্যেও এই অনুষ্ঠান পড়ে না। নাগরিকদের টাকায় নির্মিত পুরসভার হোর্ডিং অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা প্রতিবাদ করেছি। খুব দ্রুত আমরা বিক্ষোভও জানাব।’’