KMC & Maheshtala

মহেশতলায় খাটালের গোবর আর ফেলা যাবে না, নিকাশি নালায় স্পষ্ট নির্দেশ কলকাতা পুরসভার

নর্দমায় গোবর ফেলায় কলকাতা পুরসভাকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা খরচ করতে হত। কিন্তু এখন যে বন্দোবস্ত করা হল, তাতে অতিরিক্ত খরচ যেমন কমে যাবে, তেমনই নর্দমা পরিষ্কার থাকায় জল জমার সমস্যা হবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ২০:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

কলকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকা ও মহেশতলা পুরসভা এলাকার নিকাশি নালায় গোবর ফেলে দেওয়ায় জমা জলের সমস্যা বাড়ছিলই। এ বার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় এই সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে বৈঠক করলেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মহেশতলা এলাকায় থাকা কোনও খাটালের গোবর আর নর্দমায় ফেলা যাবে না।

Advertisement

কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, মহেশতলা পুরসভার এলাকায় থাকা ৪৪টি ওয়ার্ডের খাটালে থাকা গরুদের গোবর নর্দমায় ফেলা হয়। ফলে বর্ষার মরসুমে এই কারণে কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরোর মেটিয়াব্রুজ এবং গার্ডেনরিচ-সহ মহেশতলা পুরসভা এলাকাতেও জল জমে। সেই জল দীর্ঘদিন জমে থাকায় সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বৃষ্টিতে গার্ডেনরিচ এলাকায় নর্দমা উপচে গোবর রাস্তায় চলে আসে। এমনই সমস্যার পাকাপাকি সমাধান করতে মেয়র পারিষদ তারক, মহেশতলা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন্দ্র সিংহ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন রায়চৌধুরী, ৪৪টি খাটালের মালিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ছিলেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকেরা।

বৈঠক শেষে তারক বলেন, ‘‘এই সমস্যার কথা কলকাতা পুরসভা ছাড়াও, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকেও আমাদের বলা হয়েছিল। কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তার পরেই এই বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে আমার কথা হয়। বৈঠক ডেকে সমস্যা মেটানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নর্দমায় আর কোনও ভাবে গোবর ফেলা যাবে না। আলোচনায় ঠিক হয়েছে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ তাদের গাড়ি দেবে, সেই গাড়ি করে খাটাল মালিকরা গোবর অন্যত্র ফেলে আসবেন। যে গাড়িতে গোবর ফেলা হবে, তার জন্য যে খরচ হবে, তা বহন করতে হবে ৪৪টি খাটালের মালিককে।’’

Advertisement

বৈঠকে উপস্থিত এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নিকাশি নালায় গোবর ফেলে দেওয়ায় কলকাতা পুরসভাকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা খরচ করতে হত। কিন্তু এখন যে বন্দোবস্ত করা হল, তাতে অতিরিক্ত খরচ যেমন কমে যাবে, তেমনই নর্দমা পরিষ্কার থাকায় জল জমার সমস্যা হবে না। আবার এলাকায় দূষণও অনেকটা কমে যাবে।’’

বৈঠকের কার্যবিবরণী কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, দূষণ ও জমা জলের সমস্যার কারণে কলকাতা পুরসভা এলাকায় কোনও খাটাল নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement