—নিজস্ব চিত্র।
বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবারের পুরভোটে বুথ দখলের কোনও অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি বলেও তারা জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ভোটে পুলিশের ভূমিকাতেও সন্তুষ্ট তারা। কলকাতা পুরভোটে ১,৬৫৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ৪,৯৫৯টি বুথ ছিল। কমিশন জানিয়েছে, দু’টি ‘বোমা জাতীয় দ্রব্য নিক্ষেপ’-এর ঘটনা ছাড়া মোটের উপর পুরভোট নির্বিঘ্নেই মিটেছে।
পুরভোট চলাকালীন খন্নায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠলেও ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছে কমিশন। যদিও ওই ঘটনায় এন্টালি থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এন্টালির ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি।
রবিবার সকালে ভোটগ্রহণের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ করেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত। তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনার নিন্দা করেছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, মীনাদেবীকে যদি হেনস্থা করা হয়, তবে তা নিন্দনীয়। মীনাদেবীর সঙ্গে মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার, পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক কথা বলেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও কমিশনের দাবি।
ভোট চলাকালীন রবিবার সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে যে, বুথের ভিতরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও ওই ফুটেজের সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। তবে কমিশনের দাবি, ওটা স্কুলের সিসিটিভি ছিল। তবে কোথাও কোনও অচল সিসিটিভি ছিল না। তা সত্ত্বেও সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরভোটে একটি বুথে পিপিই কিট পরে ভোট দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে। কমিশন জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে কয়েক জন কোভিড রোগী ভোট দিয়েছেন।
কমিশনের দাবি, পুরভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ৪৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনায় মোট ২০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫৫টি ইভিএম বদল করা হলেও বুথ দখলের কোনও অভিযোগ নেই। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও খুশি কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বলেন, ‘‘পুলিশ ভাল কাজ করেছে। যেখানে যা অভিযোগ এসেছে, তা খতিয়ে দেখে তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।’’